নাজিয়া গল্প

267 7 0
                                    

নাজিয়া কিছুতেই ব্যাপারটা নিজের মন থেকে বের করে দিতে পারছে না । বারবার চোখের সামনে অপুর চোখ দুটো দেখতেপাচ্ছে যেন । ওর নিজের ভেতরেই সব কিছু কেমন যে পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে । এমন কেন হচ্ছে? কেন সে নিজের কাজে মন দিতে পারছে না ? হাতের মগটা ছুড়ে মারলো সামনে । মেঝেতে পড়ে সেটা ছড়িয়ে গেল । শব্দ শুনে হাসান ছুটে এল ঘরে । নাজিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল, কী হয়েছে ম্যাম ? ঠিক আছেন?

নাজিয়া নিজের পিএর দিকে তাকালো না । একভাবে নিজের পিসি মনিটরের দিকে তাকিয়ে রইলো । এখন কারো দিকে সে তাকাতে চাচ্ছে না । কারো দিকে তাকাতে তার ইচ্ছে করছে না ।

হাসান বলল, ম্যাম স্যারকে কি ডাক দিবো?

কথা শুনে নাজিয়ার মেজাজটা হঠাৎ চড়া হয়ে গেল । সে হাসানের দিকে দিকে না তাকিয়েই বলল, কেন? তাকে কেন ডাক দিতে হবে? তোমাকে বলেছি তাকে ডাকতে? চোখের সামনে থেকে দুর হয়ে যাও ।

হাসান আর কিছু বলার সাহস পেল না । দরজা দিয়ে আবারো বের হয়ে গেল । দরজা টা বন্ধ হওয়ার আওয়াজ শুনে সামনের দিকে ফিরে তাকালো । নিজের আচরনে নিজেই খানিকটা অবাক হচ্ছে ! এমন কেন আচরন করছে সে ! এতো অস্থির কেন হচ্ছে সে ? কেন?

অপু ওর সাথে একদম খারাপ ব্যবহার করে নি । বরং স্বাভাবিক আচরন করেছে । প্রতিদিন ওর সাথে যেমন নরম আর মিষ্টি ব্যবহার করে ঠিক তেমন ! অথচ ওর রাগ করার কথা ছিল ? ছেলেটা কেন রাগ করে না ওর উপরে ? কেন এই ভাবে ভালোবাসে?

ভালোবাসে?

নাজিয়া নিজে মানতে না চাইলেও জানে না কথাটা সত্য । অপু তাকে ভালোবাসে !

বিয়ের শুরুতে নাজিয়া অপুকে অপছন্দ করে এসেছে কেবল মাত্র বিয়েটা ওর নিজের পছন্দে হয় নি বলে । কোন দিন অপুকে বোঝার চেষ্টা করে নি । এমন কি স্ত্রী হওয়ার চেষ্টা পর্যন্ত করে নি । কিন্তু অপু ঠিকই তার স্বামী হওয়ার সব কাজ সামলেছে ।

অপুর সাথে বিয়েটা হয়েছে নাজিয়ার বাবার ইচ্ছেতে । নাজিয়া যতই এক জেদী হোক না কেন বাবার সামনে সে খানিকটা অসহায়বোধ করে সব সময় । নাজিয়ার বাবা খালেকুর রহমান নিজেকের মেয়েকে খুব ভাল করেই চেনেন । নাজিয়াকে কিভাবে লাইনে আনতে হয় সেটা তার ভাল করেই জানা ছিল । অপু প্রথমে ওদের কোম্পানীরই একজন এম্প্লোয়ী ছিল । কিভাবে যেন খালেজুর রহমান অপুকে খুব বেশি পছন্দ করা শুরু করলেন । পছন্দটা এতো তীব্র হল যে এক সময়ে নিজের মেয়ের সাথে বিয়ে দেওয়ার ব্যাপার সব কিছু ঠিক করে ফেললেন ।

অপুর গল্প (ভলিউম ০৪)حيث تعيش القصص. اكتشف الآن