বাংলা গদ্য সাহিত্যের উদ্ভব ও বিকাশ

0 0 0
                                    

১৭৮৪ থেকে ১৮০০ সালের মধ্যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আইনের ডি বাংলা অনুবাদ গ্রন্থ বাংলা হরফেই প্রকাশিত হয় কলকাতা থেকে। এ ছাড়া এ সময়ে ক্যালকাটা গেজেট পত্রিকায় প্রায় দু হাজার বাংলা বিজ্ঞপ্তি -বিজ্ঞ প্রকাশিত হয়। বাংলা গদ্যের এসব মুদ্রিত নমুনা ছাড়াও হাতের লেখা চিঠিপত্র দলিল-দস্তাবেজ পাওয়া গিয়েছে বিস্তর। এসবের মধ্যে  আছে কলকাতা কোর্টের কাগজপত্র (১৭৫৬-৭৪),হ্যালহেডের ব্যক্তিগত সংগ্রহ (১৭৭২-৮৫) জর্জ বোগল (১৭৭৪-৮১),জঁ ভের্লি (১৭৭৬-১৮৩০)  এবং অগাস্তিন অসাঁতের (১৭৭৯-৮৫) ব্যক্তিগত সংগ্রহ। ঢাকা অঞ্চলের তাঁতিদের লেখা কোম্পানির চিঠিপত্র (১৭৯০,১৭৯২ ও কিছু পরবর্তী সময়ের) পাওয়া গিয়েছে দু হাজার।

এগুলো থেকে বাংলা গদ্যের যে নিদর্শন পাওয়া যায় তা থেকে বোঝা যায় যে ক্রমবর্ধমান উন্নতির মাধ্যমে বাংলা গদ্য তখন এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছিল যাকে দীনেশ সেন এবং সুকুমার সেন পূর্ণ বিকশিত বাংলা গদ্য বলে আখ্যায়িত করেন। সুতরাং, বাংলা গদ্যের চড়াই- উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে তার দীর্ঘ যাত্রা আরম্ভ করেছিল ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ স্থাপিত হওয়ার পর - এ কিংবদন্তির আদৌ কোনো ভিত্তি নেই। ধীরগতিতে যাত্রা অতিক্রম করার পর বাংলা গদ্যের দ্রুত বিকাশের পেছনে যে সব প্রধান কারণ ছিল, সেগুলো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আইন -আদালত স্থাপন, কোম্পানির সব আইন ও বিজ্ঞপ্তি-বিজ্ঞ বাংলায় প্রকাশের সিদ্ধান্ত (১৭৭৩),আনুষ্ঠানিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও লেখা সংস্কৃতি কোম্পানির কর্মচারীদের বাংলা শেখার উদ্যোগ এবং ১৭৭০ এর দশকে বাংলা নির্মাণ ও ছাপাখানার প্রচলন।

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস -০২Onde histórias criam vida. Descubra agora