বাংলা গদ্য সাহিত্যের উদ্ভব ও বিকাশের ধারা (অন্তিম পর্ব)

0 0 0
                                    

কবি ঈশ্বর গুপ্ত তাঁর ভাষারীতির সমালোচনা করতে গিয়ে মন্তব্য করেছেন, দেওয়ানজী জলের ন্যায় সহজ ভাষা লিখিতেন, তাহাতে কোন বিচার ও বিষাদঘটিত বিষয় লেখায় মনের অভিপ্রায় ও ভার সকল অতি সহজে স্পষ্টরূপে প্রকাশ পাইত, এজন্য পাঠকেরা অনায়াসেই হৃদয়ঙ্গম করিতেন, কিন্তু সে লেখায় শব্দের বিশেষ পারিপাট্য ও তাদৃশ মিষ্টতা ছিল না।' বর্তমান কালের পরিপ্রেক্ষিতে রামমোহন রায়ের রচনা বিসদৃশ মনে হলেও তৎকালীন গদ্যরীতিতে তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ স্থানের অধিকারী।
(২১)→
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

বাংলা গদ্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান অনেক। তিনি বাংলা গদ্যে শব্দ বিন্যাস, পদবিন্যাস ও যতি চিহ্নের যথাযথ ব্যবহার করে বাংলা গদ্যকে শিল্পিত রূপ দান করেন। বাংলা গদ্যের অন্তনিহিত ধ্বনি ঝংকার ও সুরবিন্যাস তিনিই প্রথমে উপলব্ধি করেন। বিদ্যাসাগরের পরিকল্পিত সাধুভাষা তা পরবর্তীতে আদর্শ সাধুভাষারূপে গৃহীত হয়। তিনি বাংলা গদ্যকে সাহিত্য গুণ সম্পন্ন ও সর্বভাব প্রকাশক্ষম করেছিলেন বলেই ঈশ্বচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যের জনক।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিদ্যাসাগরকে বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পী বলে অভিহিত করেছেন ।
(২২)→
[ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ]
'বেতাল পঞ্চবিংশতি (১৮৪৭) বাকরণ কৌমুদী 1853-1862
শকুন্তলা ১৮৫৪
প্রভাবতী সম্ভাষণ ১৮৯২
সীতার বনবাস (১৮৬০)
ভ্রান্তিবিলাস ১৮৬৯

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস -০২Unde poveștirile trăiesc. Descoperă acum