_বোনকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছি। স্কুলের পাশেই _ '৫০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল'- নামের একটা নতুন বিরাট সরকারি হাসপাতাল হয়েছে ।
_অবাক হয়ে লক্ষ করলাম হাসপাতালের ভিতর থেকে মিউজিকের শব্দ আসছে। আরে কি আশ্চর্য, 'বেইবি ডল' গানটা বাজছে।
হতে পারে হাসপাতালের রোগীগুলো শুয়ে থাকতে থাকতে বিরক্ত। তাই একটু গানের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। কিংবা হাসপাতালের ডাক্তাররা ভাবছেন, যারা প্রায় মুমূর্ষ রোগী তাদের শেষবারের মত মনের খায়েশ মেটানোর জন্য একটু ব্রেক ড্যান্সের আয়জন করা দরকার।
এদিকে আমার বোনের মনের খায়েশ মেটাতে আমার জান যায় প্রায়। এমনিতে ঘুমাই ভোর ৪ টা ত্রিশ বা ৫ টায়। আবার উঠতে হয় ৬টায় ওকে স্কুলে দিতে। তার উপর ওর পাপের বোঝা দিয়েছে আমার ঘাড়ে। এত্তগুলো বই নিয়ে আমি হাটব কেমনে। এমনেইতো হাটি হেলে দুলে। নিয়ম করে করে কিছুক্ষন পর পর উষ্ঠা খাই!!!
ফেরার পথে চায়ের দোকানে চা খাওয়া আমার পুরনো অভ্যাস। বেড-টি খাওয়ার সৌভাগ্য না হলেও এটা আমার রোড-টি।__ রেড-টি নয়। হঠাৎ করে লক্ষ করলাম কয়েকটা মেয়ে আমার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নাক চেপে ধরল।
আমি আমার কাধের নিচে নাক দিয়ে শুঁকলাম, নাহ্ এটা সহনীয়। মেয়েদের স্মেল সেন্স খুব সক্রিয়। আমি আমার ছাত্রীকে পড়ানোর সময়-এ ব্যাপারে খুব সাবধান থাকি। কিন্তু কয়েকটা লোককেও দেখলাম যাওয়ার সময় নাক চেপে ধরে আছে।
এমা!!
আমি একটু নড়ে চড়ে বসলাম!
কিছুক্ষন ভাবার পর দেখলাম রাস্তার ওপাড়ে একটা বিশাল দানব সাইজের একটা ডাস্টবিন আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
আমার পেটের ভিতরে কি যেন পাক দিয়ে উঠল। এটা এতক্ষন কেন চোখে পরলনা!! এতক্ষন গন্ধও বা কেন পেলাম না!!???বেইবি ডল গানটা আবার বেজে উঠল। না, গানটাতো আমার পকেটে বাজছে। আমার মোবাইলে!! কি হয়েছে আমার?? সেন্সগুলো এতো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে কেন???
YOU ARE READING
আমাদের তার ছিঁড়া গল্প কাব্য
Humor(Highest Rank #1) লেখকের নিজের জীবনের ছোট ছোট মজার সব গল্প, ছন্দ নিয়ে খুব হেয়ালিপনা কিছু লেখা!