অফিসের কাজের ব্যস্ততায়, কাজ করতে করতে একজন সহকর্মী ( ফিসফিসিয়ে) : শোভন সাহেব
শোভন : হু
সহ: আপনি আসলে কাজে মন সবসাতে পারছেন না। একটু মানসিক অস্থিরতায় আছেন বোধ হয়।
শোভন: হু
সহ: গায়ে থেকে এখনো ছাত্র ছাত্র গন্ধ যায় নি তো তাই। এমন হতেই পারে। পেশাগত কাজ আর পড়াশোনা পুরোপুরি আলাদা।
শোভন : হু
সহ: অবশ্য এর সমাধান একটাই
শোভন ( উৎসুকভাবে): কী?
সহ: বিয়ে। আপনাকে একটা গোপন খবর দিতে পারি। আমাদের ডিজিএম সাহেব আপনাকে পছন্দ করেছে।
শোভন : বলেন কী?
সহ: উনার মেয়েটা সুন্দরী। পাস করেছে সবেমাত্র। তবে একটু সমস্যা আছে।
শোভন : কী?
সহ : মেয়েটা আপনাকে দেখতে আসবে চুপিচুপি। মেয়ের পছন্দ হলেই...
শোভন : ভয়ানক ব্যাপার। আমি তো জানতাম ছেলেরা মেয়ে দেখে।
সহ: দিনকাল পাল্টেছে। নারীর ক্ষমতায়নের যুগ। যা হোক, আমি শুধু এতোটুকু জানি, অবশ্য কেবল আমিই জানি বিষয়টা, মেয়েটা আগে যাচাই করে নিতে চায় তার হবো জামাইয়ের মধ্যে রসকস আছে কি-না। বেরসিক মানুষের সাথে নাকী ঘর করা সম্ভব নয়।
শোভন : এতো কঠিন পরীক্ষা ভাই। ভয় পাচ্ছি।
সহ : কোন ভয় নেই। আপনি তো চিনতে পারবেন না। আসলে আমি ইশারা করে দেব।
শোভন : আর আমি রসিকতা শুরু করবো।
সহ: এই যেমন দু'কলি গান শুনিয়ে দিলেন নিম্নস্বরে।
শোভন : এ তো আরেক বিপদ। তবে ভয় নেই আমি তো চাকুরি ছেড়ে দিচ্ছি।
সহ : এটা কোন বিষয় না। চাকুরী ছাড়া অত্যন্ত আনন্দের কাজ। আমি প্রতিদিন সন্ধ্যায় চাকুরি ছেড়ে দেই। সন্ধ্যা ছটায়।
YOU ARE READING
ত্র্যহস্পর্শ
Romanceশোভন ব্যাংকে চাকুরী করে। নতুন চাকুরী। শাখায় প্রচন্ড গ্রাহকের ভীড়। দম ফেলার সময় নেই। টেবিলে অনেক কাগজপত্র। ভীড় একটু হালকা হলেই চেয়ারে হেলান দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ের আড্ডা আর হৈচৈয়ের স্মৃতিতে ডুবে যায়। তার মন খারাপ হয়। ব্যাংকে গ্রাহকরা পৃথিবার স...