দৃশ্য: পাঁচ

190 2 0
                                    

অফিসের কাজের ব্যস্ততায়, কাজ করতে করতে একজন সহকর্মী ( ফিসফিসিয়ে) : শোভন সাহেব

শোভন : হু

সহ: আপনি আসলে কাজে মন সবসাতে পারছেন না। একটু মানসিক অস্থিরতায় আছেন বোধ হয়।

শোভন: হু

সহ: গায়ে থেকে এখনো ছাত্র ছাত্র গন্ধ যায় নি তো তাই। এমন হতেই পারে। পেশাগত কাজ আর পড়াশোনা পুরোপুরি আলাদা।

শোভন : হু

সহ: অবশ্য এর সমাধান একটাই

শোভন ( উৎসুকভাবে): কী?

সহ: বিয়ে। আপনাকে একটা গোপন খবর দিতে পারি। আমাদের ডিজিএম সাহেব আপনাকে পছন্দ করেছে।

শোভন : বলেন কী?

সহ: উনার মেয়েটা সুন্দরী। পাস করেছে সবেমাত্র। তবে একটু সমস্যা আছে।

শোভন : কী?

সহ : মেয়েটা আপনাকে দেখতে আসবে চুপিচুপি। মেয়ের পছন্দ হলেই...

শোভন : ভয়ানক ব্যাপার। আমি তো জানতাম ছেলেরা মেয়ে দেখে।

সহ: দিনকাল পাল্টেছে। নারীর ক্ষমতায়নের যুগ। যা হোক, আমি শুধু এতোটুকু জানি, অবশ্য কেবল আমিই জানি বিষয়টা, মেয়েটা আগে যাচাই করে নিতে চায় তার হবো জামাইয়ের মধ্যে রসকস আছে কি-না। বেরসিক মানুষের সাথে নাকী ঘর করা সম্ভব নয়।

শোভন : এতো কঠিন পরীক্ষা ভাই। ভয় পাচ্ছি।

সহ : কোন ভয় নেই। আপনি তো চিনতে পারবেন না। আসলে আমি ইশারা করে দেব।

শোভন : আর আমি রসিকতা শুরু করবো।

সহ: এই যেমন দু'কলি গান শুনিয়ে দিলেন নিম্নস্বরে।

শোভন : এ তো আরেক বিপদ। তবে ভয় নেই আমি তো চাকুরি ছেড়ে দিচ্ছি।

সহ : এটা কোন বিষয় না। চাকুরী ছাড়া অত্যন্ত আনন্দের কাজ। আমি প্রতিদিন সন্ধ্যায় চাকুরি ছেড়ে দেই। সন্ধ্যা ছটায়।


ত্র্যহস্পর্শWhere stories live. Discover now