শোভন ওয়ার্কশপে কাজ করছে। একটু আনমানা। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলবে, কত দিন আড্ডা দেই না! তারপরই মোবাইল নিয়ে ফোন দেবে।
শোভন : দোস্ত ৬টায় শাহবাদ আয়। কত দিন আড্ডা দেই না।
অনিক : শাহবাগ!
শোভন : আয় শালা। আড্ডাটারে খুব মিস করছি। রিপন আসাদকে ফোন দিচ্ছি। আবার পুরান দিন ফিরায়ে আনব।
অনিক ( অসস্তি নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে) : আচ্ছা আসছি। বেশিক্ষণ থাকতে পারব না। মোবাইলের টাচ ঝামেলা করতেছে। ঠিক করতে যেতে হবে।
রিপনকে ফোন দেবে। মিউটে কথাবার্তা চলবে।
রিপন : মাপ কর দোস্ত। কালকে বিদেশি ডেলিগেট আসবে। আজ ১০টার আগে অফিস থেকে বের হতে পারব না।
আসাদকে ফোন। মিউটে কথাবার্তা চলবে।
আসাদ : দারুণ কইছস 'পুরান দিন'। আসতেছি। জমাইয়া আড্ডা দিমু। এইজন্য তোকে দোস্ত পছন্দ করি শালা-আজকাল পুরান জিনিসে মূল্য মাইসে বুঝে না। খালি ওয়ান টাইম চায়। ওয়ান টাইম লাইফ।
YOU ARE READING
ত্র্যহস্পর্শ
Romanceশোভন ব্যাংকে চাকুরী করে। নতুন চাকুরী। শাখায় প্রচন্ড গ্রাহকের ভীড়। দম ফেলার সময় নেই। টেবিলে অনেক কাগজপত্র। ভীড় একটু হালকা হলেই চেয়ারে হেলান দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ের আড্ডা আর হৈচৈয়ের স্মৃতিতে ডুবে যায়। তার মন খারাপ হয়। ব্যাংকে গ্রাহকরা পৃথিবার স...