সোহরাওয়ার্দি উদ্যান।
শোভন বাইক নিয়ে নির্দিষ্ট চায়ের দোকানে যাবে।
দোকানদার : শোভন ভাই। বহু দিন পর দেখা পেলাম।
শোভন : আবার এসে পড়লাম। এখন থেকে দৈনিক দেখবা। চাকরি বাকরি আর ভাল্লাগে না। কত আড্ডা দিলাম তোমার এখানে মামা। কত স্মৃতি! আবার দিন ফিরিয়ে নিয়ে আসব।
দোকানদার : নেন চা খান আগে। ( চা আগায়ে দিবে)
শোভন চা নিয়ে মোবাইলে সময় দেখবে আর উদাস হবে পুরান কথা ভেবে।
অনিক : I'm here you crazy man. (দোকানদারকে) আরে মামা বহুদিন পর। রিপন, আসাদ (শোভনকে ইশারায় জানতে চাইবে।)
শোভন : রিপন আসবে না। আসাদ আসতেছে।
এরপর শোভন অনিক আড্ডা দেবে।
কিছুক্ষণ পর
আসাদ আসবে সাথে একটা মেয়ে নিয়ে।
আসাদ : দুঃখিত দোস্ত দেরি হয়ে গেলো। (সাথের মেয়েকে ইশারা করে) আমার কলিগ সিন্থিয়া। (শোভন অনিককে ইশারা করে) আমার বন্ধু। জানে জিগার। আমরা এখানে আড্ডা দিয়ে কাটিয়েছি বহু বছর। We have so many memories here.
আসাদ: দুঃখিত দোস্ত। থাকতে পারছি না। সিন্থিয়ার কি কেনাকাটা আছে। একটু যেতে হচ্ছে। এতো ব্যস্ততা এখন। অথচ আমাদের সমস্ত বিকেল কেটেছে এখানে। ওকে। বাই।
আসাদ ও সিন্থিয়া চলে যাবে।
অনিক : ওকে, Bye Good night, Sleep tight.
শোভন : ওকে গিয়ে দুটো লাথি দিয়ে আয়। শালা কত বড়। আইসা বলে বাই। You can say that simple word over phone.( গজগজ করতে করতে) We have so many memories here.
অনিক : আমাকেও যেতে হচ্ছে। চল যাই।
শোভন : [চিৎকার করে] যা যা। তোর কাজ আছে আমার কি।
অনিক : Okay crazy man.
শোভন হাটুতে কনুইয়ে রেখে, হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বিড়বিড় করবে।
শোভন : কিছুই আগের মতো নেই। সবকিছু এতো দ্রুত বদলে যাচ্ছে... এ শহরের লোকজন পাগল হয়ে যাচ্ছে।
YOU ARE READING
ত্র্যহস্পর্শ
Romanceশোভন ব্যাংকে চাকুরী করে। নতুন চাকুরী। শাখায় প্রচন্ড গ্রাহকের ভীড়। দম ফেলার সময় নেই। টেবিলে অনেক কাগজপত্র। ভীড় একটু হালকা হলেই চেয়ারে হেলান দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ের আড্ডা আর হৈচৈয়ের স্মৃতিতে ডুবে যায়। তার মন খারাপ হয়। ব্যাংকে গ্রাহকরা পৃথিবার স...