কামুক লোকটি ও আমার স্ত্রী (পর্ব-১)

কামুক লোকটি ও আমার স্ত্রী (পর্ব-৯)

আমি এখানে যে সমস্ত ঘটনাগুলো তুলে ধরছি সেগুলো পড়ে কী মনে হচ্ছে ? নিছক গল্প ?
না , এগুলো কোনও কল্পিত গল্প নয় । আমাদের সামাজিক জীবনে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে এই ঘটনাগুলো কিন্তু তা সাধারণের চোখের আড়ালে , আর আমার এই কাহিনী লেখার উদ্দেশ্যেই ছিল তা সাধারণের সামনে তুলে ধরা ।
আমাদের দেশে নিম্ন আয়ের মানুষই বেশি এবং তাদের জীবন খুব সাদামাটা ভাবেই কাটে , ফলে সমাজ তাদের ক্ষেত্রে যৌন উন্মাদনা বিষয়টিকে সীমায় বেঁধে দিয়েছে , সেই সীমার বাইরে সবকিছুই তাদের কাছে নিষিদ্ধ । কিন্তু উচ্চবিত্ত সমাজে অর্থ কোনও চিন্তার বিষয় নয় , তাই তারা যৌনতাকে নিয়ে এক বৈচিত্রময় পৃথিবী গড়েছে । এর পিছনে একটা কারণও রয়েছে , এই শ্রেণীর মানুষেরা সারা দিন জমিতে মাটি কাটে না , কিন্তু তারা যে কাজ করে তাতে মস্তিষ্ক অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ে যা শারীরিক পরিশ্রমের চেয়ে ঢের বেশি এবং এই ট্রেস থেকে দ্রুত মুক্তি একমাত্র যৌনতাই দিতে পারে । শহরের বুকে বেশ কিছু ক্লাব আছে যেখানে সদস্য হতে হলে কয়েক লক্ষ টাকা দিতে হয় , বাৎসরিক চাঁদাও প্রায় লক্ষ টাকা । এইসব ক্লাবে মাসে একটা করে উৎসব হয় , থাকে লেদার মদ ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা, সেখানে একটা গেম হয় , যেমন ধরলাম চল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ বছরের পুরুষেরা বা পঞ্চাশ থেকে পঞ্চান্ন বছরের পুরুষেরা তাদের গাড়ির চাবি জমা দেবে , এই চাবির রিংয়ে এমন কিছু থাকে যা দেখে স্ত্রীরা চিনতে পারে যে এটা তাদের গাড়ির চাবি । এবার কর্তৃপক্ষ এইসব চাবিগুলো নিয়ে একটা বড় টেবিলে পর পর সাজিয়ে দেয় এবং এক এক করে স্ত্রীদের ডেকে একটা করে চাবি তুলে নিতে বলে । এই চাবিগুলোর প্রত্যেকটিতে রুম নম্বরের ট্যাগ লাগানো থাকে , প্রত্যেক স্ত্রী ওখান থেকে নিজেদের চাবিটি বাদে যেকোনো একটি চাবি তুলে নেয় এবং চাবিতে লাগানো রুম নম্বর দেখে সেই ঘরে চলে যায় , সেখানে অপেক্ষা করে সেই পুরুষটি যার গাড়ির চাবি মহিলাটি নিয়ে গেছে এবং মহিলাটি রুমে যাবার পরই জানতে পারে কোন পুরুষের সাথে সে সেই রাতটি কাটাবে , পুরুষটিও তখনই জানতে পারে কোন নারী তার সাথে সেই রাতটি কাটাবে । এ এক অদ্ভুত অনুভূতি , চরম উত্তেজনাময় মুহূর্ত ।