১৪ তম সূরাঃ সুরা ইবরাহীম

2 0 0
                                    

সুরা ইবরাহীম

মক্কায় অবতীর্ণ- আয়াত ৫২, রুকু ৭

পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে​

১. আলিফ, লা-ম, রা। (এ কোরআন) এমন এক গ্রন্থ, যা আমি তোমার ওপর নাযিল করেছি, যাতে করে তুমি (এর দ্বারা) এমন মানুষদের তাদের মালিকের আদেশক্রমে (জাহেলিয়াতের) যাবতীয় অন্ধকার থেকে (ঈমানের) আলােতে বের করে আনতে পারাে, তাঁর পথে, যিনি মহাপরাক্রমশালী ও যাবতীয় প্রশংসা পাবার যােগ্য।

২. সে আল্লাহর (পথে), যাঁর জন্যে আকাশমন্ডলী ও যমীনে যা কিছু আছে সব কিছু (নিবেদিত), যারা (এ সত্ত্বেও আল্লাহকে) অস্বীকার করে তাদের জন্যে কঠিন শাস্তি (রয়েছে)।

৩. (এ শাস্তি তাদের জন্যে) যারা পার্থিব জীবনকে পরকালীন জীবনের ওপর প্রাধান্য দেয়, (মানুষদের) আল্লাহর (সহজ সরল) পথ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়, (সর্বোপরি) এ (পথ)-টাকে (নিজেদের খেয়াল খুশীমতো) বাঁকা করতে চায়, এরাই হচ্ছে সেসব লােক যারা মারাত্মক গোমরাহীতে নিমজ্জিত রয়েছে।

৪. আমি কোনাে নবীই এমন পাঠাইনি, যে (নবী) তার জাতির (মাতৃ)-ভাষায় (আমার বাণী তাদের কাছে পৌঁছায়নি), যাতে করে সে তাদের কাছে (আমার আয়াত) পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বলতে পারে; অতপর আল্লাহ তায়ালা যাকে চান তাকে গােমরাহ করেন, আবার যাকে তিনি চান তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন; তিনি। মহাপরাক্রমশালী ও মহাকুশলী।

৫. আমি মুসাকে অবশ্যই আমার নিদর্শনসমুহদিয়ে (তরি জাতির কাছে) পাঠিয়েছি, তোমার জাতিকে জাহেলিয়াতের অন্ধকার থেকে (ঈমানের) আলােতে বের করে নিয়ে এসে এবং তুমি তাদের আল্লাহর (অনুগ্রহের বিশেষদিনগুলোর কথা স্মরণ করাও; যারা একান্ত ধৈর্যশীল ও পরম কৃতজ্ঞতপিরায়ণ, তাদের জন্যে এ (ঘটনার)। মাঝে (অনেক) নিদর্শন রয়েছে।

৬. মুসা যখন তার জাতিকে বলেছিলাে, তোমরা তোমাদের ওপর আল্লাহ তায়ালার নেয়ামতসমুহের কথা স্মরণ করাে, (বিশেষ করে) যখন তিনি তোমাদের ফেরাউনের সম্প্রদায় থেকে মুক্তি দিলেন, যারা তোমাদের কঠোর শাস্তি দিতো, তােমাদের ছেলেদের হত্যা করতাে, তোমাদের মেয়েদের জীবিত রাখতো; তােমাদের মালিকের পক্ষ থেকে তোমাদের জন্যে এতে বড় ধরনের একটি পরীক্ষা নিহিত ছিলাে।

বাংলা সরল আল-কুরআন  Where stories live. Discover now