তৃতীয়াংশ

76 4 1
                                    


সভ্য আর আমার প্রেম জমে একদম বরফ! যত দিন যাচ্ছে আমি যেন সভ্যর মধ্যে ডুবে যাচ্ছি। সভ্য যেন কোন মানুষ না, একটা সমুদ্র। প্রেমে পূর্ণ সমুদ্র! এই সমুদ্রের জলে যত ডুব দেই ততই শুধু প্রেম পায়।

রাগ, অভিমান, ঝগড়া, ঘুরাঘুরি এভাবেই আমাদের দিন যাচ্ছিলো। আমি সবসময় অপেক্ষায় থাকি সভ্য কবে বাড়ি আসবে। ক্যাডেটে প্যারেন্টস ডে তে ছোটবাবা ছোটমা যখন ওর সঙ্গে দেখা করতে যেতো, তাদের সাথে আমিও যাওয়া শুরু করলাম। অথচ ও ক্যাডেটে যাওয়ার পর দুই বছর আমি ওর কোন খোঁজ খবর রাখিনি। আর এখন সব সময় ওর চিন্তা আমার মাথায় ঘুর ঘুর করে! আমি অপেক্ষায় থাকি কবে ওদের প্যারেন্টস ডে আসবে!

আমি ভাবতাম এটাই কি মাতাল করা প্রেম? এটাই কি ভালোবাসা? হ্যাঁ এটাই ভালোবাসা। আমার জীবনের প্রথম ভালোবাসার নাম সভ্য।

আচ্ছা তাহলে অনিক আমার কি ছিলো? আমি যে বলতাম আমি ওকে জান প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতাম। সেটা কি ছিলো?? একটা ঘোর? সম্ভবত সেটাই। কারণ আমি এখন জানি অনিক কখনোই আমার ভালোবাসার মানুষ ছিলো না।

সভ্য ওর এসএসসি পরিক্ষা শেষ করে লম্বা ছুটিতে বাসায় এলো। কিন্তু তখন এইচএসসি পরিক্ষা আমার দরজায় কড়া নাড়ছে। আমি পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সারা দিন রাত আমার ঘরে পরে থাকি। পড়া ছাড়া আমি চোখে মুখে অন্ধকার দেখি।

আমার পরিক্ষা শুরু হওয়ার দুই দিন আগে সভ্যর সাথে আমার তুমুল ঝগড়া লেগে গেলো। সামান্য একটা বিষয় নিয়ে। বিষয়টা হচ্ছে চুমু!

তার কথা হচ্ছে রিলেশনের একবছর পার হয়ে যাওয়ার পরেও আমি কেনো ওকে চুমু খেতে দিচ্ছি না বা আমি কেনো চুমু খাচ্ছি না।

আমাদের কথা ছিল ভ্যালেন্টাইন ডে তে আমরা ফাস্ট কিস করবো। যেহেতু ভ্যালেন্টাইন ডে তে ওর পরিক্ষা ছিল সেজন্য ও বাসায় ছিল না। আর আমাদের ফাস্ট কিসও হয়নি। যদিও সেদিন আমাদের দেখা হয়েছে। কারণ ওর পরিক্ষার সেন্টার জিলাতে ছিল। যেদিন করে ওর পরিক্ষা থাকতো সেদিন ছোটমা ওর সাথে দেখা করার জন্য জিলায় যেত। সাথে আমিও যেতাম, আমি কি আর ওকে দেখার চান্স মিস করতে পারি! নাহ্, কক্ষনোই না!

সভ্যতার সভ্য ( Sovvotar Sovvo)Donde viven las historias. Descúbrelo ahora