রাঙামাটিতে কোনো রিকশা নেই। ফলে ছোট দূরত্ব হেটেই চলাফেরা করতে হয়। ফুপু আর আমি পাশাপাশি হাঁটছি। আমি উনার হাত ধরতে চাইলে উনি বাঁধা দিলেন না। স্বামী যেমন নতুন বউয়ের হাত ধরে পথেঘাটে চলাফেরা করে আমিও তেমন করে ফুপুর হাত ধরে পাশাপাশি চললাম। লোকে হয়ত ভাবছে মা-ছেলের পিরিতি!
বাজারে এসে চাকমাদের একটা থান কাপড়ের দোকানে ঢুকে ব্লাউজের জন্য সুতী কাপড় বাছাই করছি। ফুপু হলুদ, কালো নানান কালার বাছাই করছেন, এমন সময় আমি ফুপুর হাতে একটা চাপ দিয়ে কানে কানে বললাম, আমার সাদা রং খুব পছন্দ! ফুপু মুচকি হাসলেন। এরপর ফুপু তিন তিনটে সাদা ব্লাউজের অর্ডার দিলেন। বসার জায়গার পাশেই একটা পর্দা দিয়ে ঘেরা জায়গায় ব্লাউজের মাপ নিচ্ছে চাকমা একটা মেয়ে। তো আমি ফুপু আর মেয়েটির কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছিলাম। ফুপুর বুকের মাপ শুনে আমার তো ভিমড়ি খাওয়ার দশা। ওনার বুকের মাপ আমার অনুমানের চেয়েও বেশি। ওনার বুক নাকি ৪০ সাইজের!
আমার সৌভাগ্য দেখে পাঠক হয়ত আফসোস করছেন!
আন্ডারগার্মেন্টস আছে কিনা জিজ্ঞেস করলাম। চাকমা মেয়েটি বলল- ওরা রাখে না, তবে ওদের পরিচিত আরেকটি দোকানে রাখে। মেয়েটা দেখিয়ে দিল। দোকানে ঢুকে দেখলাম – ব্রা আর পেন্টির বিশাল স্তুপ। নানান সাইজ, কালার আর ডিজাইন! সত্যিকারের ভাগ্যবানরাই এগুলো হাতানোর সুযোগ পায়। এখানে বিক্রেতা মেয়ে। কেউ ছেলে বা ভাতিজাকে পাশে নিয়ে ব্রা, প্যান্টি কিনতে যায় না। তাই মেয়েটি ভাবল আমি বোধহয় স্বামী! আর সে কারণেই মেয়েটি ফুপুকে দিদি আর আমায় দাদা বলে সম্বোধন করছিল। এত ডিজাইনের মাঝে থেকে ফুপু ব্রা বাছাই করতে হিমশিম খাচ্ছিল দেখে মেয়েটি হালকা হেসে বলল- দিদি আপনি দাদার পছন্দে কিনুন না! আমি ত থ!পরক্ষণেই ফুপু চোখের ইশারায় আমাকে ডাকল, যেমন করে লজ্জাবতী বউ স্বামীকে ডাকে। আমি বিভিন্ন ডিজাইনের কয়েকটা চল্লিশ সাইজের ব্রা ফুপুকে পছন্দ করে দিলাম! মাথায় একটা ভাবনাই আসছিল – আমার কেনা পিঙ্ক ব্রাখানা পড়লে ফুপুকে কেমন মানাবে!
ওহ! মনে হচ্ছে দম বন্ধ হয়ে মরে যাব!