বড় ফুপু এসেছেন এক মাসের বেশি হয়ে গেছে! ছেলেরা ফোন দিচ্ছে, কেন উনি যাচ্ছেন না! অবশেষে বড় ফুপু বিদায় চাইলেন! বললেন- “শফিক আমারে দিয়া আয় বাপ! আর কত থাকমু! আমার দেরি দেইখ্যা ওরা কেউ আইয়া পড়লে আরো বিপদ!”
বড় ফুপু যাওয়ার আগে আমাদের একসাথে বসিয়ে কথা বললেন। ওনার আর রাগ নাই আমাদের ওপর। মনোয়ারার প্রতি সব দায়িত্ব পালনে বড় ফুপু আমার উপর খুশি! আর মনোয়ারার খুশিমুখ দেখেও তৃপ্ত! তবে আমাকে একটা কথাই বললেন- “দেখ বাপ, যা করছস করছস! এগুলা ভাইবা আর লাভ নাই। এহন আমার বইনটারে আর কষ্ট দিস না! ও তোরে এই বয়সে পোলা দিছে! ওরে কষ্ট দিলে তুই জাহান্নামে যাবি! যে কাজ তরা করছস আর কোনদিন সমাজে মুখ দেখাইতে পারবি না! মনোয়ারা তোর লাইগা সব কুরবানি দিল! ওরে শান্তিতে রাখিস! ওরে সব সুখ দিস বাজান!”
বড় ফুপুকে দিয়ে আসতে হবে। রাতের গাড়িতে রওয়ানা হব। এখন এই রুটে এত গাড়ি কী বলব পেছনের ডাবল সিট সব ফাকাই থাকে! আমি বুকিং দিয়েছি একদম শেষ মুহূর্তে, সামনে ডাবল সিট নাই তাই পেছন থেকেই ডাবল সিট নিতে হল! বাসে উঠে দেখি যাত্রী বলতে গেলে নাই। আর যাও আছে সামনের দিকে একজন করে বসেছে। আমাদের আশেপাশে সামনে- পেছনের সিটে কেউ নাই। রাত দশটায় গাড়ি ছাড়ল।
এবার আসি বড় ফুপুর কথায়। মনোয়ারার মতই ওনার উচ্চতাও প্রায় পাচ ফুট চার বা তিন! আমার সব ফুপুদেরই স্বাস্থ্যই ভালো, চেহারা সুন্দর! বড় ফুপুও বেশ স্বাস্থ্যবতী! মাই জোড়া বিশাল, তবে ঝুলে গেছে! মনোয়ারার চেয়েও দু সাইজ বড় হবে! পাছা এ বয়সে যেমনি হয় ল্যাদল্যাদা! ফুপুও মোটা যেমন তেমন, তবে বাসায় খোলামেলা অবস্হায় থাকেন, গরমে সারাক্ষণ হাসফাস করেন, একবার কোথাও বসলে একা উঠতে তার ভীষণ কষ্ট হয়, টেনে উঠাতে হয়। বাসায় বেশ কয়েকদিন আমি সোফা থেকে টেনে তুলেছি, ফুপু খিক খিক করে হেসে বলেছেন, বুইরা হইয়া গেছিতো, পাছা ভারী হয়ে গেছে। আজও গাড়িতে এ হাতির বাচ্চারে তুলতে বেগ পেতে হয়েছে।
গাড়ি ছাড়ার পর লাইট নিভিয়ে দিল ড্রাইভার! রাতের গাড়িতে সবাই ঘুমায়! আমার অতটা ঘুম আসে না! সুপারভাইজার সব চেক করে ঠিকঠাক করে দেওয়ার পর আর ঝামেলা নেই। তিন ঘন্টা পর কুমিল্লা আসলে বিরতি। ফুপু উসখুস করেন, আগেও দেখেছি। বোধহয় বাসে ঘুম আসে না। বোরকার মুখোশ খুলে নিয়েছেন। অন্ধকারে কিছুক্ষণ পরপর আমাকে এটা সেটা জিজ্ঞেস করছেন, আমিও হু হা করছি। ঘন্টা খানেকের মধ্যেই সব চুপচাপ,যাত্রীরা নাক ডাকতে শুরু করেছে! আমারও হালকা ঘুম ঘুম আসছে। কথা বন্ধ করে সিটে গা এলিয়ে দিয়ে ভালভাবে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলাম। রাত যত বাড়ছে ঠান্ডাও বাড়ছে। তাই একটা চাদর জড়িয়ে নিলাম। চোখ লেগে লেগে আসছে।