(১১)

565 0 0
                                    

খাওয়া শেষে উনি সব গুছিয়ে রেখে নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করলেন। আমি আড়চোখে সবই লক্ষ্য করছিলাম। আমায় কিছু বললেন না, আর ডাকলেনও না।

আজ বিধবা ফুপুটির আর আমার অলিখিত বাসর। আমি মনেপ্রাণে চাইছিলাম উনি আজ সাদা শাড়ি, সাদা ব্লাউজ পরবেন। আমিই তা লাল করে দিব! কিন্তু কিছুই বলতে পারলাম না। উপরন্তু ফুপু ঘরের দরজা আটকে দিয়েছেন! কী হবে বুঝতে পারছিলাম না। শরীরে এমন সব বলবর্ধক জিনিস প্রবেশ করেছে যে ধোন বাবাজির নরম হওয়ার কোনো লক্ষণই নেই। রাত বারোটা নাগাদ ফরেস্ট কলোনি ঝিমিয়ে পড়ে। আর তখনই ফুপু তার দরজা খুলে আমায় ডাকলেন। যেন ফুপু পৃথিবীর সমস্ত ব্যস্ততা শেষের প্রতীক্ষায় ছিলেন! ফ্ল্যাটের সব আলো নেভানো।আমি চমকে উঠে বিছানা থেকে উঠে দাড়ালাম, অন্ধকারে এগিয়ে এসে ফুপুর দরজায় ঠেলা দিলাম। খুলে গেল। যা দেখলাম তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না!

ঘরের দুটো জানালাই বন্ধ। ফুপু তার ঘরের সোফা ঠেলে একপাশের দেয়ালের সাথে সেট করেছেন। জায়গা বড় করে ঘরের মেঝেতে একটা ভারী কাথা বিছিয়েছেন, তার ওপর একটা সফেদ সাদা চাদর, দুটো বালিশ তাতে সাজিয়ে রাখা। ঘরের চারকোনায় চারটি মোমবাতি জ্বলছে!তাই আবছায়া। আর সেই আধো আলোতে আমার স্বপ্নের রাণী সেই বিছানাতে একটা সাদা শাড়ি পরে ঘোমটা মুড়ি দিয়ে বসে আছেন!

আমি স্তব্ধ, নির্বাক সেইসাথে পুলকিত! আমার কামনার নারী, যাকে সারাজীবন আপন করে চেয়েছি সে কিনা আমার জন্য মাত্র কয়েক হাত ব্যবধানে নিজেকে অপ্সরা সাজিয়ে বসে আছে! আমি নিশ্চল দাড়িয়ে আছি! কয়েক মূহুর্ত পরে ফুপু ডাকলেন- খোকা! আয় খোকা! আমায় গ্রহণ কর!













পাহাড়ের গহীনেWhere stories live. Discover now