দীনা বেচারির টাকিলা সট মারার মিনিট দশেকের মধ্যে বেশ নাজেহাল অবস্থা হয়ে গেল,কারণ দীনা আমার উপর প্রায় ঢলে পরছে।
এই দশ মিনিট সানাহ সাহেব ড্রিঙ্ক নিয়ে তার অভিজ্ঞতার কথা যেন বলছিল। আমার মাথায় সে সব আর ঢুকছে না। আমি কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেছি আর ভাবছি এটাকি বাস্তব নাকি আরও একটা স্বপ্ন. কিছুক্ষণ পরে হয়ত কেউ আমাকে ডেকে তুলে বলবে সকাল হয়েছে নাস্তা কর।
মিসেস নূপুর বললেন দীনাকে সোফায় সুইয়ে দাও। বেচারি ক্লান্ত মনে হচ্ছে।
আমি নিজেও কিছুটা টলছি। দীনা বেশ ভাঁড়ি তাই ওঁকে ডিভানে তুলে সোয়াতে বেশ বেগ পেতে হল। শেষ দিকে পা তুলে দিতে গিয়ে আমি ভারসাম্য হারিয়ে পরে যেতে নিয়েছিলাম কোন রকমে সামলে নিলাম, মিসেস নূপুর এসে দিনার পা দুটি ধরে ডিভানে তুলে দিল। তারপর সোজা হয়ে দাড়াতেই ঠিক আমার মুখোমুখি।
আমি তার দিকে সম্পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালাম মিসেস নূপুর ও তাকালও। তার শরীর থেকে একটা খুব পরিচিত পারফিউম এর গন্ধ নাকে আসছে। সারা সন্ধ্যা আমি এই পারফিউম এর গন্ধটা মনে করার চেষ্টা করেছি। এখন এত কাছাকাছি দাড়াতে মনে পরল এটা secret পারফিউম। আমার বউ ব্যাবহার করত।
দুইজন যেন এই অবস্থায় আটকে গেছি, সম্বিত ফিরে পেলাম যখন সানাহ সাহেব একটু গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন let me give you love birds some privacy.
মিসেস নূপুর একটু অপ্রস্তুত ভঙ্গীতে সরে দাঁড়ালো। সানাহ সাহেব ততোক্ষণে মিসেস নূপুরের পেছনে এসে দাঁড়ালও কোমর ধরে তার কাছে টেনে লম্বা একটা চুমু খেলেন। আমি সেই দৃশ্য দেখে অন্য দিকে চোখ ফিরিয়ে নিলাম। যাওয়ার সময় মিসেস নূপুরকে বললেন “don’t enjoy too much”.
আমি এবার সানাহ সাহেবর চেয়ারটাতে বসলাম মিসেস নূপুর সেই ডিভানটাতে বসলেন। দীনা পাশে ঘুমিয়ে আছে। তার গভীর নিশ্বাস কানে ভেসে আসছে। মনে মনে বললাম এভাবে সারা রাত ঘুমিয়ে থাকলেই ভালো হত।
সানাহ সাহেব রুম থেকে চলে গেছেন অনেকক্ষণ। রুমে কেমন যেন একটা থম থমে পরিবেশ। মিসেস নূপুর বসে আছেন আমিও চুপচাপ কি করব বুঝতে পারছি না কে আগাবে। নিশন্দেহে আমাকেই প্রথম এগিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু কিভাবে বুঝতে পারছিনা।