সামিহা.
আরও একটি সুন্দর সকাল আরও একটি সুন্দর রাত। এভাবেই চলে গেল কয়েকটা দিন এসে দারালাম চলে যাওয়ার ঠিক আগের দিনটিতে।
তুলিদের বাসায় দাওয়াত রয়েছে। আজ সারা দিন ওদের বাসায় থাকবো।
আজকে আমার বই গুলো গুছিয়ে ফেলতেই হবে না হলে আম্মু আজ আমার উপর নিশ্চই চটে বসবে।বই গুলো গুছিয়েই রওনা করলাম তুলিদের বাসায় ।দরজা নক করতেই তুলি দরজা খুললো।
"এত দেরি হলো আসতে তোর...।"
"বই গুলো গুছিয়ে আসতে আসতে দেরি হয়ে গেল ।"
আজ আমরা অনেক গল্প করব বলে ঠিক করেছি। এত গল্প করব যেন আগামি এক বছর যেন সেই স্মৃতিতে কাটাতে পারি।
"দেখ পুতুলটা তোর মনে আছে তুই আমাকে দিয়েছিস টুতে থাকতে।"
"আজও আছে তোর কাছে।"
"হ্যা, যত্ন করে রেখেছি।"
----------------
দুপুরে খাবার খেয়েই বের হলাম আমাদের পুরো এলাকাটা ঘুরতে। আজ মনে হচ্ছে যায়গাটাকে আমি আবার নতুন করে চেনার চেস্টা করছি। ক্যামেরাটা হাতে করে এলাকার অলিগলির ভেতর দিয়ে ভিডিও করতে করতে যাচ্ছি। আমার সব পচ্ছন্দের যায়গা গুলিকে আমি আমার সঙ্গে নিয়ে যাব।
"চল স্কুলে ঘুরে আসি।"
"হুম, চল।"
বিকাল হতেনা হতেই স্কুল মাঠে সবাই খেলতে চলে আসে। আজও এর ব্যতিক্রম নেই। তুলি আর আমি পুরো প্রাঙ্গন যুরে ভিডিও করলাম। স্কুলের সামনের দিকে যেই বাগানটা রয়েছে তাতে অনেক গোলাপ ফুল ফুটেছে। তুলি তার এক পরিচিত ভাইয়াকে বলে আমাদের কয়েকটা ছবি তুলে দিতে।
স্কুলের বাহির দিকটার বড় রাস্তাটা খালি বলা চলে ।আমরা নিশ্চুপ ভাবে হাটতে থাকলাম।
হঠাৎ সন্ধা গরিয়ে এলো। বাসায় ফিরতে হবে কিন্তু একটুও ইচ্ছে করছে না। বাসায় ফিরে আমার আমাদের ডায়রি একে অপরকে দিলাম। মনের যত কথা যত আভিমান অভিযোগ এবং যত আনন্দময় মুহূর্ত সব একে একে লিখে ফেললাম।
"আমি চলে যাওয়ার পর পড়িস।"
"এখন পড়লে কি হবে।"
"না, পড়বি না পরে পড়িস ।"
"ওকে ওকে।"
রাতে আমরা ডিনার করে টিভি দেখতে বসলাম । আমার ফেভারেট কার্টুন স্পন্জবব হচ্ছে। তুলি পচ্ছন্দ করে না কিন্তু আজ ও কিছুই বলছে না। আর কিছু দিন পর ভার্সিটি তে পড়ালেখা করব কিন্তু এখনও কার্টুন দেখার অভ্যাস ছারতে পারলাম না।
টিভি দেখা শেষ হলে আমরা ঘুমতে যেতে আরম্ভ করি। প্ল্যান ছিল সারা রাত গল্প করবো কিন্তু আন্টি এসে মনে করিয়ে দিয়ে গেলেন যে সকালে ফ্লাইট আছে ।
যার কারনে তাড়াতাড়িই ঘুমিয়ে পরতে হলো।---------------
তুলিরা আমাদের সাথে এসেছে। আমাদের বিদায় জানাতে। সেই মুহূর্ত যেটা আমি কখনও চাই নি। চাই নি আমার ফ্রেন্ডকে এভাবে ছেরে যেতে । যাওয়ার সময় তুলি আমার হাতে একটি ব্যাগ দিল বললো এখানে খুলতে না।
ফ্লাইট একটু পরেই ছারবে যার জন্য আমাদের নাম ডাকা হচ্ছে। বাবার এয়ার ফোর্সে চাকরির জন্যই সুযোটা পেলাম বিমান ভ্রমনের। তুলিকে শেষ বারের মত জরিয়ে ধরে কাদতে লাগলাম ।তুলিও কাদছে । তারপর বিদায় বেল উঠলাম প্লেনে। প্লেনের দরজা বন্ধ হতে শুরু করে। আমাদে সীটবেল্ট বাধতে বলা হল। এরপর শুরু হল নতুন যাত্রা।
YOU ARE READING
'অল দ্যা লাভ' (All The Love ft. Harry Styles)
Fanfictionসামিহা নামের মেয়েটি অন্য সবার মতই ঢাবিতে পরার সপ্ন পুরণের লক্ষে ঢাকায় পারি জমায় এবং এখানে তার নতুন জীবন শুরু হয় । এখানে সে নতুন নতুন বন্ধু পায়। মীনহাজ আর আরবি তাকে বন্ধুত্বের মাঝের অটুট ভালবাসার অনুভুতি শেখায় আর অনুভব করায় All The Love. * Tbh আ...