সামিহা নামের মেয়েটি অন্য সবার মতই ঢাবিতে পরার সপ্ন
পুরণের লক্ষে ঢাকায় পারি জমায় এবং এখানে তার নতুন জীবন শুরু হয় । এখানে সে নতুন নতুন বন্ধু পায়। মীনহাজ আর আরবি তাকে বন্ধুত্বের মাঝের অটুট ভালবাসার অনুভুতি শেখায় আর অনুভব করায় All The Love.
* Tbh আ...
"কি দোস্ত কি খবর ভালো আছিস?" মীনহাজ ও অনেক খুশি আরাবিকে দেখে।
"এইতো আছি ভালো... কত্তো দিন দেখি না তোদের...।আহালে কত্তো গলু হয়ে গেছিস তোরা।" আরাবি তার ভালোবাসায় আমাদেরকে সিক্ত করে ফেলছে।
"ভাইয়ার কি খবর?"
"উফ! ভাইয়া বাদ দে।তার সাথে আর কথা নাই।"
"কেন কি হয়েছে?" আমি আর মীনহাজ এক সাথে বলে উঠলাম।
"এতো সিরিয়াস কিছু না, ও আসলে এতো বিজি নতুন জব নিয়ে যে আমার সাথে ঠিক মত কথা বলার ও সময় পাচ্ছে না। "
কাঁদো কাঁদো মুখে বলতে লাগলো। বিশাল আল্লাদি মেয়েটা তারপর সে নিজেকে সামলে রাখতে সক্ষম। ভাইয়ার সাথে কথা হচ্ছে না বলে মনে মনে রেগে আছে তবুও ভাইয়াকে তা বুঝতে দিচ্ছে না। বড়ই অদ্ভুত তাদের ভালোবাসা।
Oops! This image does not follow our content guidelines. To continue publishing, please remove it or upload a different image.
"এসব ব্যাপার নিয়ে বেশি ভাবিস না।"
পাসে থেকে মীনহাজ বলে উঠল ," এর থেকে ও বড় টেনশন আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে, 'প্রেজেনটেশন' । এইটা নিয়ে কেউ একটু ভাব।"
"টপিক যেন কি?" আরাবি যেন প্রেজেনটেশন সম্পর্কে জ্ঞাত নয়।
"ইনোভেটিভ বিজনেস আইডিয়া।" আমি বলে উঠলাম।
"কোনো আইডিয়া কি আছে ? কি নিউ বিজনেস প্ল্যান করবো?" আরাবি টোটালি কনফিউজড। " আমিতো তোদের গ্রুপে, তাই না?"
আরাবির প্রশ্নে খানিকটা বিরক্ত হয়েই বললাম, "এতো প্রশ্ন করিস কেন? আর তুই তো আমাদের গ্রুপেই, এটা নিয়ে সন্দেহ আছে?"
"পেয়েছি..." মীনহাজ যেন তিন গোয়েন্দা বইয়ের মতন কোন এক মিস্ট্রি সোলুসন বের করেছে।
"কি?" আমি আর আরাবি অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছি আইডিয়াটা শোনার জন্য।
"ওটো ফার্টিলাইজার ডিসপোজাল।"
"এটার কাজ?" আরাবি প্রশ্ন করলো।
"এটার মাধ্যমে আমাদের বাসা বাড়ির দৈনন্দিন আবর্জনা থেকে সার প্রস্তুত করা হবে।"
"একটু বেশি কঠিন হয়ে গেল না?"
"চেষ্টা করলে তো সনই সম্ভব।"
"চলো প্লানিং প্লটিং করি।"
"সামিহা কি রঙের শাড়ি পরবি?" হঠাৎ আলানা বলে উঠল।
আমি খানিকটা চমকে গেলাম, "শাড়ি...? শাড়ি পরা লাগবে? কেন?"
মীনহাজ পাশে থেকে বলে উঠল, "ফরমাল পরতে বলেছে তাই।"
আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পরলো, আমি যে সারি পরতে পারি না। কখনও সারি পরিও নি।
"শাড়ি কি পরতেই হবে?।"
"পরতে হবে মানে কি? পরতেই হবে ।" আলানা দৃঢ় ভাবে বলল।
"কিন্তু আমি তো সারি পরতে পারি না।"
"আমি আছি না আমি পরিয়ে দিব।"
"কিন্তু..."
"নো কিন্তু"
"আচ্ছা তোমরা ঠিক করো কি করবা , আমি বরং প্রেজেনটেশন প্রিপেয়ার করি। বাইইই..."মীনহাজ আমাদের দুজনকে বিদায় জানালো।
এখন যেন আমার মাথা ঘুরছে , না জানি কি অপমানজনক সিচুয়েসন এর সম্মুখীন হতে হবে কে জানে। আরাবি আমাকে আস্বস্ত তো করেছে কিন্তু তার পরও নিজেকে আস্বস্ত করতে পারছি না।