সামিহা নামের মেয়েটি অন্য সবার মতই ঢাবিতে পরার সপ্ন
পুরণের লক্ষে ঢাকায় পারি জমায় এবং এখানে তার নতুন জীবন শুরু হয় । এখানে সে নতুন নতুন বন্ধু পায়। মীনহাজ আর আরবি তাকে বন্ধুত্বের মাঝের অটুট ভালবাসার অনুভুতি শেখায় আর অনুভব করায় All The Love.
* Tbh আ...
ভার্সিটি বাসে জাওয়াই ভাল। এ্যাটলিস্ট পরীক্ষা মিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। সারে আটটায় ভার্সিটিতে পৌছলাম। জানি এখন কোথায় যাব। হাটতে থাকলাম এফ.বি.এসের দিকে। কমন রুমে পড়াটাই বেটার হবে ভেবে ঢুকলাম ভেতরে।
"ও.এম.কে !!! " এখন হয়তো মিড সিজন চলছে । সবাই খুব জোরে শোরে পড়াশোনা করছে। নাহ ! ঠাই নাই মোর ঠাই নাই। একটা খালি সীট পেলাম না। ছুটে গেলাম ই-লাইব্রেরিতে। নাহ ! ই-লাইব্রেরি ও ফুল। পিছু ফিরতেই শুনি কে যেন আমাকে ডাকছে...
"সামি..."
ই-লাইব্রেরিতে নিজের নাম শুনা খুবই অদ্ভুদ এক ব্যাপার, কারণ ওখানে সর্বদা পিন ড্রপ সাইলেন্স বজায় থাকে। কন্ঠটা আমি চিনি, পেছনে ফিরতেই দেখি মীনহাজ। তার কাধে রয়েছে তার ব্যাগ।
"তুমি উঠে আসলে কেন?" আর এমন সময় মীনহাজের সীট অলরেডি ফুল হয়ে গেছে। যেখানে একটা সীটের জন্য একাধিক স্টুডেন্ট অপেক্ষা করে সেখানে এটা স্বাভাবিক । "তোমার সীট ও গেল। এখন...?"
"চলো..."
"কৈ?"
"চলো।"
*****
টি.এস.সির করিডোর দিয়ে হাটচ্ছি আমি আর মীনহাজ। সেখানে অনেকই আছে , বেশির ভাগই ছিল কপত-কপতি। যারা হাতে হাত রেখে, কাধে মাথা রেখে আছে। কিছুটা অসস্থিকর পরিবেশ এখানে। মীনহাজকে অনুকরণ করে হাটতে থাকলাম। ক্যান্টিনের ভেতরে মোটামুটি ফাকা । মীনহাজ আর আমি বসে পরলাম এক কোনার একটি টেবিলে।
Oops! This image does not follow our content guidelines. To continue publishing, please remove it or upload a different image.
"পড়া শুরু করা যাক..." বলে মীনহাজ বইয়ের পাতা উলটাতে থাকলো। "আই থিংক এই টপিকটা আসার মতন।"
"হ্যা, হয়তবা...স্যার একবার বলেছিলেন।"
আমরা কয়েক ঘন্টা ওখানেই পড়তে থাকলাম আর নিজেদের সমস্যা গুলোর সমাধান করতে লাগলাম।
"সময় হয়ে এসেছে প্রায়...চলো বাঁশ বাগানে যাই।"
বাঁশ বাগানের কথা শুনে হাসি থামাতে পারলাম না। আসলেই যে ব্যাক্তি নামটা দিয়েছে , সে ঠিক দিক বিবেচনা করেই দিয়েছে। এক্সাম হল বাঁশ বাগান নয়তো আর কি?
*****
দশ তলা ভবনে লিফ্ট ছারা উঠা কষ্ট স্বাদ্ধ্য হলেও অসম্ভব কিছু নয়। পরীক্ষার দিন গুলোতে লিফ্টে জায়গা না পাওয়া ও অস্বাভিক কিছু নয়।
দশম তলায় পৌছতে দেখি আরাবি ধুমিয়ে পড়ছে। জানি না বলা ঠিক হবে কি না? তারপর ও আরাবিকে দেখে বলার উপায় নেই যে পরীক্ষার ব্যাপারে ও এতো সিরিয়াস হবে।
সবারই আতঙ্কে রয়েছে কে জানে কি হবে বাঁশ বাগানে।
ঘড়িতে প্রায় একটা বেজে এসেছে , সবাই তাদের সীটে বসে পরেছে। স্যাররা প্রশ্ন দেওয়া শুরু করেছেন। প্রশ্ন দেখে চমকে গেলাম, এ গুলাতো আমি একটু আগেই মীনহাজের সাথে সল্ভ করছিলাম। ভালোমত করে সব প্রশ্নের এ্যান্সার করলাম । দেখতেই দেখতে ঘড়ির কাটায় দুইটা বেজে উঠলো। খাতা নিতে নিতে আর দশ মিনিট পার হলো।
রুম থেকে বের হয়েই দিলাম ভো... দোর । আমাকে আর ঠেকায় কে। বাস মিস হওয়ার ভয়ে মূল্যত দোর দেওয়া।
টি.এস.সি পৌছতেই বাস হাজির। ধাক্কা ধাক্কি করে বাসে উঠে একটুকু জায়গা পাওয়া ও সার্থকতা।
*****
এখন প্রায় প্রতিদিনই মীনহাজের সাথে গ্রুপ স্ট্যাডি করা হয়, মাঝে মাঝে আরাবিও জোগ দেয় আমাদের সাথে। মোটামুটি সব এক্সাম ভালই দিচ্ছি। আশা করি ভাল ফলাফল আসবে।
দেখতেই দেখতে সব এক্সাম পার করে ফেললাম। কখনও এত তাড়াতাড়ি এক্সাম শেষ হওয়ার অনুভুতি হয়নি। নেকস্ট ডে থেকে ভেকেসন। রমজান মাস। মানে এক মাস ওদের দেখয়ে পাব না। ভুল হয়েছে এক মাস না, প্রায় চল্লিশ দিন। মিস করব ওদের ,অনেক মিস।