সামিহা.
ডিসেম্বর পচিঁশ। ক্রীস্মাস টাইম। ঢাকার চার্চ গুলো হয়তো অসম্ভব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। বাবা অনেক এক্সাইটমেন্ট নিয়ে বলে উঠল," চল তোকে আর তোর মা কে নিয়ে ঘুরে আসি।"
আমি আর আম্মু এক সাথে বলে উঠলাম, " কোথায়?"
"আছে এক যায়গা। সারপ্রাইজ।"
বাবা তার সারপ্রাইজ নষ্ট করতে চাইলেন না শুধু বললেন তৈরি হয়ে আসতে।
পরে আমরা বের হই ঘুরতে। রাতের বেলায় রিকসায় ঘুরার মজাই আলাদা । আজ অসম্ভব সুন্দর লাগছে শহরটা। বড় বড় দোকানপাট আর হোটেল রেস্তোরা গুলো খুব জমকালো ভাবে সাজিয়েছে। আমরা কাছের একটা রেস্তোরায় ডুকলাম। রেস্তোরার আজ সব আয়োজন বড়দিনকে ঘিরে।রেস্তোরায় গানের আয়োজন করা হয়েছে যেখানে ছোট শিশুরা বড়দিনের গান করছে। ওয়েটার আমাদের কেক অফার করল। যতটুকু সময় আমরা ছিলাম ততটুকু সময় অনেক ইনজয় করেছি। সত্যি আজকের রাতটা অসম্ভব সুন্দর একটি রাত।
...................
"Happy new year dost."
তুলির টেকস্টের রিপলাই ব্যাক করলাম, "Happy new year to you too dost."
আজকের সকাল নতুন একটা সকাল। নতুন করে শুরু করব আরও একটা বছর।
..................
জানুয়ারি ১১, আমার ভার্সিটি লাইফের প্রথম দিন। জানি না কেমন হবে। বাবা আমার সাথে যাওয়ার জন্য জোর করছে। সবাই কি বলবে এখনো বাবার হাত ধরে ক্লাসে যাই। মানুষের কথা চিন্তা করে একটু দ্বিধা করছি; কিন্তু পর মুহূর্তে মনে হল না, আমার আনন্দের মুহূর্তে বাবা সাথে থাকলে মন্দ হয় না। আমরা দু'জনেই ভার্সিটির পথে রওনা করলাম।
ভার্সিটিতে একটু আগে এসেছি। উফ! এত সুন্দর এলাকাটা চারিদিকে শুধু গাছ আর গাছ। সবুজে ঘেরা। মনে হয় তরু রাজ্য। অনেক মানুষের আনাগোনা । ওখানের এক বড় ভাইয়াকে বাবা ডেকে বললেন,
" বাবা ৪০৫ নং রুমটা কোন দিকে? একটু দেখিয়ে দিবে।"
ভাইয়াটা আমাদের রুমটা দেখিয়ে দিল। বাবা আমাকে রুমে বসিয়ে বললেন,
![](https://img.wattpad.com/cover/42496819-288-k399511.jpg)
YOU ARE READING
'অল দ্যা লাভ' (All The Love ft. Harry Styles)
Fanfictionসামিহা নামের মেয়েটি অন্য সবার মতই ঢাবিতে পরার সপ্ন পুরণের লক্ষে ঢাকায় পারি জমায় এবং এখানে তার নতুন জীবন শুরু হয় । এখানে সে নতুন নতুন বন্ধু পায়। মীনহাজ আর আরবি তাকে বন্ধুত্বের মাঝের অটুট ভালবাসার অনুভুতি শেখায় আর অনুভব করায় All The Love. * Tbh আ...