সামিহা নামের মেয়েটি অন্য সবার মতই ঢাবিতে পরার সপ্ন
পুরণের লক্ষে ঢাকায় পারি জমায় এবং এখানে তার নতুন জীবন শুরু হয় । এখানে সে নতুন নতুন বন্ধু পায়। মীনহাজ আর আরবি তাকে বন্ধুত্বের মাঝের অটুট ভালবাসার অনুভুতি শেখায় আর অনুভব করায় All The Love.
* Tbh আ...
শাড়ি যেন আমার এক চরম শত্রু। শাড়ির এত এত প্যাচের কথা মাথায় আসলেই যেন আমার চক্কর দেয়। বুঝিনা এই শাড়ির প্রতি বাঙালি মেয়েদের কেন এত প্রেম।
প্রেজেনটেশনর জন্য শাড়ি খুঁজতে খুঁজতে যেন হাপিয়ে গেলাম , মায়ের সবকটি শাড়িই এমন চকচকে যে একজন ব্যক্তির চোখ অন্ধ করার ক্ষমতা রাখে। অতি সাধারণ দেখতে এমন শাড়ি না পেয়ে যখন পুরোপুরি ক্লান্ত তখনই মা এসে বলে উঠল, "দেখতো এইটা হবে কিনা?"
রুপালি পার যুক্ত বেগুনি এবং নীল রঙের মিশ্রনের শাড়িটি বেরিয়ে দিল মা আমার কাছে। এই শাড়িটা ও যে চকচকে না তা বলা চলে না কিন্তু, শাড়িটার মধ্যে কেমন যেন এক প্রকার সিমপ্লিসিটি কাজ করছিল।
Oops! This image does not follow our content guidelines. To continue publishing, please remove it or upload a different image.
"হ্যাঁ চলবে।"
********
ভোর সকালে ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে আমাকে কারন শাড়ির ব্যাপারে আমি অনেক কাঁচা। মা খুব যত্নে পরিয়ে দিচ্ছে। শাড়ির পাড় আঁচল ঠিক করে দিয়ে বলল, "ব্যস হয়ে গেল।"
কিছুক্ষণ আমাকে দেখে কেমন যেন ভাবুক হয়ে উঠলো।
"কি হয়েছে মা।"
"কিছু না, শুধুমাত্র দেখ ছিলাম মেয়েটা আমার বড় হয়ে গেছে।"
মাকে কিছুক্ষণ জরিয়ে ধরে থাকলাম।
******
অনেক ভয় করছে। একে তো এই প্রথম শাড়ি পরেছি তারপর আবার প্রেজেনটেশনের চিন্তায় মাথা যেন কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। ফোন ব্যাগ থেকে বের করেই আরাবিকে কল করলাম, " কই তুই ?"
ফোনের ওপ্রান্তে আরাবি বলে উঠল ," এইতো আমরা স্যাডোতে...তুই চলে আয়।"
বুঝতে আর বাকি রইল না 'আমারা' বলতে মীনহাজ উপস্থিতিকে বুঝিয়েছে। মীনহাজের নাম চিন্তা করলেই কেমন যেন একটা অনুভুতি হয় , কেমন যেন আকুলতা কাজ করে মন অধৈর্য হয়ে যায়। স্যাডোতে পৌছেই এক আকর্ষিক দুর্ঘটনা ঘটে রাস্তার কনক্রিটের ভাঙ্গা অংশে পা বেধে রীতিমত পরে যাতে লাগি এমন সময় আরাবি আমাকে জাপটে ধরে।
"ঠিক আছিস?"
"হু"
যে কারনে এতো ব্যাকুল হয়ে ছুটে আসা তাকে আসে পাশে কোথাও দেখছি না।
"তুই কি কাউকে খুঁজছিস?"
"আম... মীনহাজ আসেনি...?"
"আরে ও তো এখানেই ছিল এখন কোথায় গেল...?!"
স্যাডোর গেটের কাছে থেকে খুব দ্রুততার সাথে হেটে আসছে সে। কাল সার্টের সাথে কোর্ট বেশ মানিয়েছে। ও যখন হেটে আমার সামনে এসে দাঁড়ায় আমার হৃৎপিণ্ড যেন চলা বন্ধ করে দিয়েছে আমি যেন ভুলে যেতে শুরু করেছি নিঃশ্বাস নেওয়ার কথা।
Oops! This image does not follow our content guidelines. To continue publishing, please remove it or upload a different image.
"কি তোমরা যাবে না?"
"হ্যাঁ চলো" বলে পা বাড়াতেই... ************************************