সামিহা.
বিমান পোর্টে পৌছলো। একে একে সব প্যাছেন্জার নামা শুরু করল। আমরাও নেমে পরলাম। এয়ার পোর্ট এলাকাটা যথেষ্ঠ বড়। আমি চারিদিক ঘুরছি আর দেখছি। বাবা গিয়েছেন লাগেজ কালেক্ট করতে।
কালেক্ট করা হলে , বাবা ফোন করলেন আফিসে গাড়ি পাঠাবার জন্য । আধা ঘন্টার মত সময় লেগেছে গাড়ি পৌছতে । তারপর লাগেজ গাড়িতে তুলে আমারা রওনা করলাম আমাদের নতুন বাসার পথে। ক্যান্টনমেন্ট এলাকা বিধায় জ্যাম নেই বললেই চলে। খুব তাড়াতাড়ি পৌছে গেলাম।
নতুন বাসাটা দো'তালায় । দরজা খুলতেই এক বদ্ধ বদ্ধ গন্ধ অনুভব হলো। অনেক দিন বন্ধ থাকার করনেই হয়তো এমনটা অনুভব হচ্ছে। ভেতরে ডুকে দেখি সব মালামাল ঠিক জাগাতে রাখা হয়েছে। বাবাকে বললাম তুমিতো বেশ ভালই গুছিয়েছ। বাবা কিছু না বলেই শুধু মুচকি হাসলেন।
তাড়াতাড়ি করে সব ঘরের জানালা খুলে দিলাম। বদ্ধ গন্ধের ভাব যেন নিমিসেই চলে গেল। মাঝের রুমটা আমার। ওখানে বসে তুলির দেওয়া প্যাকেটটি খুললাম। ভেতরে একটি ছোট বক্সে ফ্রেন্ডসীপ ব্যান্ড , চারটি কার্ড আর একটি ফোটো এ্যালবাম। ছবি গুলো দেখতে ওকে কল করলাম।
"হ্যালো তুলি।"
"সামি কেমন আছিস? তুই ঠিক মত পৌছে গেছিস? "
" হ্যা ।"
"বাসা কেমন? ভাল?"
"হ্যা সব ভাল।"
" খেয়েছিস? "
"না, কেবলইতো বাসায় পৌছালাম। মা রান্না করছে । সো পরে খাব।"
"ওকে তাহলে তুই রেস্ট নে ।"
"বাই।"
"বাই।"
কথা বলা শেষ করে যায় ফ্রেস হতে। ক্লান্তি দুর করার সবচেয়ে ভাল উপায় গোসল। ঠান্ডা পানি যখন গাঁ স্পর্শ করে তখন নার্ভ গুলো সব স্বক্রিয়ো হয়ে যায়। কিছুক্ষন পর বের হলাম। আম্মুর রান্না করা শেষ হলে আমরা খাওয়া শুরু করি। ডিম ভাজি আর ডাল। এই মুহূর্তে সব চেয়ে উপযুর্ক্ত খাবার। খাওয়া শেষ করে যাই ঘুমতে। একটু রেস্ট নেওয়া খুব জরুরি।
কিছুক্ষন ঘুমানোর পর বাবার ডাকে উঠে পরলাম ," চল বাহি দিয়ে ঘুরে আসি।"
ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে বললাম ,"কোথায়?""আহা চলতো।"
"ওয়েট..।"
মুখ হাত ধুয়ে রেডি হলাম।
"আমি রেডি ।"
আমি আর বাবা হাটছি রাস্তা দিয়ে। বাবার তর্জনি ধরে ছোট বাচ্চাদের মতন। অচেনা রাস্তা কিন্তু কোথায় যেন খানিকটা মিল আছে। হয়তো এখান কার গাছপালা । রাস্তার পাসে বড় একটি মাঠ সেখানে অনেক মানুষ খেলা করছে। এলাকাটা আমাদের আগের এলাকার মতনই শুধু এরিয়াটা ছোট। গাছপালার স্নিগ্ধ ছায়ায় যেন সব ক্লান্তি হারিয়ে যায়। কি অদ্ভুদ শান্তিময় অনুভব হচ্ছে।
বাবা আর আমি বাসয় ফিরে আসি। ফিরে এসেই আমি পড়তে শুরু করি। আর দেরি নেই পরীক্ষার । আমাকে অনেক পড়তে হবে । যে সপ্নের জন্য আমি এতটা পথ পারি দিয়েছি সেই সপ্ন আমাকে পুরোন করতেই হবে।
YOU ARE READING
'অল দ্যা লাভ' (All The Love ft. Harry Styles)
Fanfictionসামিহা নামের মেয়েটি অন্য সবার মতই ঢাবিতে পরার সপ্ন পুরণের লক্ষে ঢাকায় পারি জমায় এবং এখানে তার নতুন জীবন শুরু হয় । এখানে সে নতুন নতুন বন্ধু পায়। মীনহাজ আর আরবি তাকে বন্ধুত্বের মাঝের অটুট ভালবাসার অনুভুতি শেখায় আর অনুভব করায় All The Love. * Tbh আ...