নিজের কোলবালিশটা যখন তার অসহ্যকর লাগে,
তখন কি করে বলি সে ভাল আছে?
.
.
বাহু বন্ধনে আবদ্ধ করে, ফিসফিস করে লিপসিন্ক করার বদলে যদি দূরে ছুড়ে ফেলে দেয় সে বালিশ, তাহলে সে নিশ্চিত ভাল নেই
.
.সপ্তর্ষি মন্ডলের শেষ নক্ষত্রটি নাকি অদৃশ্য হয়ে গেছে, দুটো পাশাপাশি মহাবিশ্ব একে অপরকে ফুড়ে চলে গেছে.. উভয়ে মিলবেনা তবুও একে অপরের কিছু একটাতো ছিড়ে নিয়ে গেছে
.
.
চাঁদের আলো যে জানালা দিয়ে ঢুকে, সূর্যের আলোও সেই বিশেষ জানালাকেই অনুসরণ করে..
ঘরের জানালা বন্ধ করে ঘর অন্ধকার রাখে বলে - মা প্রায় তাকে বকে..
.
.
কিন্তু এত আলো তার কেন ভাল লাগবে? এই আলো তো তার ভিতরের আঁধারকে আলোকিত করতে পারবেনা!
.
.
খোলা জানালার উদাম হাওয়া তার শ্বাসনালী বেয়ে ফুসফুস পর্যন্ত যাবে ঠিকই কিন্ত ভিতরের মহাশূণ্যতা তো পূরণ করতে পারবেনা!
.
.
কারণ সেই শূণ্য জায়গায় একদিন যে থাকত, সে বাড়ি চলে গেছে, আর বলে গেছে,
সে আর ফিরবেনা, তার জন্যে যেন কেউ অপেক্ষা না করে....
.
.
সেই শূণ্যতা এখন কেউ পূরণ করতে পারবেনা আর... কারণ সেই শূণ্যতা এখন মহাবিশ্বের বাইরের শূণ্যতার মত, যেখানে শূণ্য (স্থান) বলে হয়ত আদৌ কিছু নেই...?