======================
সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ আত্মসম্মানের ধার ধারে না। যারা ভালোবাসার জন্য নিজের জীবন উৎস্বর্গ করে দিতে জানে, তারা সামান্য মান অপমান সইতে পারবে না, তা হয় না।সত্যিকার ভালোবাসায় মহত্ব বলে কিছু নেই। স্বার্থপরতা, ঈর্ষা, ঘৃণা সবই ভালোবাসার অংশ। যাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা যায়, তাকেই সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করা যায়। অতঃপর দিনশেষে সব ঘৃণার ডালি উল্টে গিয়ে ভালোবাসার নতুন প্লাবনে পর্যবসিত হয় ।
প্রেমিকাকে অন্যের হাতে তুলে দেয়া? তার সুখের জন্য? - এটা উচ্চ শ্রেণির মহত্ব হতে পারে কিন্তু নিম্নশ্রেণীর ভালোবাসা। ঈর্ষায় জ্বলে পুড়ে খাঁক হয়ে যাওয়ার নাম ভালোবাসা। ভালোবাসার মানুষের জন্য সীমাহীন স্বার্থপরতার নাম ভালোবাসা। প্রচন্ড ঘৃণায় প্রেয়সীর মাথায় গুলি করে নিজে মরে যাওয়ার তীব্র ইচ্ছার নামও ভালোবাসা।
যেখানে যেটা সম্ভব না সেখানে সামান্য জিনিসের জন্য শুধু শুধু আবদার করে সেটা না পেয়ে প্রচন্ড গ্লানিতে ভরে যাওয়ার নামও ভালোবাসা।
ভালোবাসা বেপরোয়া, একাশিয়া গাছের কষ, ব্রেইক ফেইল হওয়া গাড়ির মত দিশাহীন, এখানে সেখানে লাগিয়ে ক্ষত বিক্ষত হওয়া, আদি অনন্তকাল ইমমেচিউরড! ভালোবাসায় ম্যাচিউরিটি তো তাকে বলে যখন কেউ ভালোবাসতে বাসতে আর ধরা খেতে খেতে এখন সাবধান এবং বুদ্ধিমান হয়ে গেছে। কিন্তু কিছু মানুষ কোনোদিন সাবধান হয় না, ভুল থেকে কখনোও শিক্ষা নেয় না, এই কারণে নয় যে তারা আহাম্মক, বরং তারা কষ্টকেও ভালোবাসতে শিখে গেছে... They've nothing to loose!
আলো আর অন্ধকারের সংমিশ্রণে ২৪ ঘন্টার দিন হয়। সূর্যের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটতে ছুটতে চিরকাল আলোকে ধাওয়া করা যায় না। ভালোবাসায় আলো অন্ধকার দুটো দিকই আছে। আর যে ভালোবাসা ধরা দেয় না, সে ভালোবাসার শক্তি অপরিমেয়...
প্রচন্ড বাস্তববাদী মানুষ ভালোবাসার সব রুপ দেখতে পায় না। অন্ধকারে তাদের চোখ কখনো সয়ে যায় না, তারা ভীতু, তারা টর্চ লাইট হাতে ঘোরে....
বিস্তীর্ণ পৃথিবীর অনাদি-অন্ত রহস্য কি সামান্য টর্চের আলোয় উদ্ভাসিত হয়? এমনকি সে রহস্য তো সূর্যের আলোতেও প্রকাশিত হয় না, সে রহস্যের খোঁজ পাবে তুমি অন্ধকারে....
এসো আঁধারি গড়েছি অট্টালিকা আবহে
হারিয়ো না যেন এই গড্ডলিকা প্রবাহে..