ক্ষুদ্র জীবনে অবসর হয়তো নেই, তবু অবসরের অনুভূতি তো পাওয়া উচিত! কেউ তো দেবে সে অনুভূতি?
নালার পাশ দিয়ে হেটে গেলে, তাই মনে হবে প্রশান্ত মহাসাগরের তটভূমি। হাহা!
যেদিন তার হাত ধরবো সেদিনটাই হয়ে যাবে ১৪ ফেব্রুয়ারী। দারুন না?
সেদিন, তার পরদিন, প্রতিদিন হবে রঙিন। তার চুলের গন্ধে রাস্তার আশ পাশ সবই পরিণত হবে বৃন্দাবনের চারণভূমি, আমি হয়ে রবো বিভোর। খানিক ভেজা চুল হতে ঝড়বে এক পশলা বৃষ্টি। পাশে বসে তার রিক্সায়, মনে হবে কোথা হতে কোথা উড়ছি, শুভ্র মেঘেদের মাঝ দিয়ে, কোনো ময়ূর পঙখীরাজে। ঐ যে কত সাদা বক উড়ে উড়ে ঘিরে নৃত্য করছে Sagittarius A কে কেন্দ্র করে।
ঐ যে দেখতে পাচ্ছো? সূর্য ডুবে যাচ্ছে একটু একটু করে সাগরের বুকে। কি অদ্ভুত এক রঙ, কি এক জাদুকরী সম্মোহন, চকলেটের মত লালচে রঙের সূর্যটা সমর্পণ করছে নিজেকে সাগরের বুকে। যে সমূদ্রটা ছিল নীল রঙে রাঙায়িত, অস্তগামী সূর্যকে বুকে ধারণ করে সে এখন সোনালী রঙের দ্যুতি ছড়াচ্ছে, এক ফিরে পাওয়ার আনন্দে। সে আনন্দ যে কত তীব্র, কত গভীর, কি ভীষণ তা সে ছাড়া আর কেউ অবলোকন করতে পারেনা।
দর্শনার্থীদের মনে হবে যেন সময় হয়ে আসছে ঘরে ফেরার। সময় হয়ে আসছে কোনো প্রিয় মানুষের মাঝে অন্তর্নিহিত হবার। সেই দুটো হৃদয় একত্রিত হয়ে উদ্ভাসিত হবে সমগ্র ধরণী। জুপিটারের মত সৃষ্টি করবে নীল রঙের Aurora.
বৃন্দাবন হয়তো যাওয়া হবে না কোনোদিন, কিন্তু তাতে কি? যদি আমার প্রতিটি প্রভাত রচিত হয় বৃন্দাবনের আদলে?