#প্রিয়_তমা
#দ্বিতীয়_পর্ব
#নউসিয়াত_জাহান_তিষা
.
.
.
রেস্টুরেন্টে মেনু হাতে নিয়ে অনেক্ষণ বসে থাকার পরও যখন বাবা কিছু বলছিলেন না তখন আমি তাড়া দিলাম,
——“ তাড়াতাড়ি বলো বাবা, ডেসার্ট হিসেবে কী খাবে?”বাবা একটু ইতস্থ করে বললেন, "ইয়ে… মানে… একটু সন্দেস খাবো।"
মা প্রায় চিৎকার করে উঠলেন, "একদম না, সুগার বেরে যাবে, সন্দেসের একটা কণাও খাওয়া যাবে না।"
বাবা আবার কপাল কুঁচকে মাকে বললেন, "প্রিয়া, তুমি একটু বেশিই ভাবছো। মাঝেমধ্যে একটু-আধটু খেলে কিছু হবে না। তাছাড়া খেয়ে যদি মরে যাই তাই বরং ভালো, তাও তো প্রতিদিন তোমার ক্যাঁচক্যাঁচানি শুনতে হবে না।"
---"কী বললে তুমি? আমি ক্যাঁচক্যাঁচাই? খেয়ে তো মরবে না, ভুগাবে আমাকে! রাত জেগে সেবা তো করতে হবে আমার!"
বাবা মাকে আরেকটু জ্বালানোর জন্য বললেন, "স্বামীর সেবা করা ভালো কাজ। এতে সোয়াব হয়, বুঝেছো?"
.
বাবা-মার ঝগড়া দেখছি আর হাসছি। ভিডিও করে রাখতে পারলে ভালো হতো, আবার যখন বলবেন যে আমি ঝগড়াটে তখন দেখানো যাবে কে কে ঝগড়াটে!
পাশ থেকে কে যেন দৌড়ে এসে ঝাপটে ধরলো।
আমি আঁতকে উঠলাম, "আরে আপনি! কখন এসেছেন? কীভাবে এসেছেন? কার সাথে এসেছেন?"
.
আমাকে ছেড়ে দিয়ে উনি সম্পূর্ণ মনযোগ দিয়ে মাথা নিচু করে নখ খুঁটছেন। কী যে সুন্দর লাগছে তাঁকে! মিনিয়নস এর পোশাক পড়া। হলুদ আর নেভিব্লুতে তাকে একটু বেশিই মানায়। চুলগুলো অবহেলায় এলোমেলো। দেখলেই মায়া লাগে, উনার চুলগুলো কি কেউ খেয়াল করে আঁচড়ে দিতে পারলো না!
আরেকবার প্রশ্ন করতেই উনি হাত উচিয়ে পাশের একটা টেবিল দেখিয়ে বললেন,
"পাপা'র সাথে এসেছি।"
.
আমি তাকালাম। কালো সুট পড়া ভদ্রলোক অন্য দিকে ফিরে ব্যস্ত ভঙ্গিতে ফোনে কথা বলছে, তাই চেহারা দেখা যাচ্ছে না। চুলগুলো উনার মতোই পিঙ্গল। সেখান থেকে মনযোগ সরিয়ে উনার দিকে তাকালাম। হঠাৎ নখ খুঁটা কোথা থেকে শিখেছেন আল্লাহ্ই জানে!আমার বাবা হেসে বললেন, "কী রে সামরিন? তোর আসওয়াদ সাহেব তো দেখি এখানেও হাজির!"
.
মা উনার চুল ঠিক করে দিতে দিতে জিজ্ঞেস করলেন, "কী রে আসওয়াদ? এখানে কেন এসেছিস? তোর বাবার কাজ ছিলো বুঝি?"
ŞİMDİ OKUDUĞUN
প্রিয় তমা
Kısa Hikayeসবাই সুন্দর করে নিজের নাম বললেও উনি সেদিন শুধুমাত্র দুটো কথাই বলেছিলেন। নিঃসংকোচে, "তমা মিস, লাস্ট ব্রেঞ্চে বসেছি বলে আমাকে গাধা ছাত্র ভাববেন না কিন্তু।" একটু থেমে... "আপনি দেখতে অনেক অনেক সুন্দর, আপনাকে আমার পছন্দ হয়েছে।" এটুকু বলে উনি বসে গিয়ে ছি...