পর্ব-৩০

65 3 0
                                    


গতকালকে প্রোজেক্টের কাজ শেষ হয়েছে।
দেশে থেকে এসেছে প্রায় আট মাস হয়ে গেছে।
বৌকে ছাড়া শ্রাবণের সময় যেন কাঠতে চায় না।
কতদিন হলো বৌকে সামনা সামনি দেখা হয়নি।
বৌকে ভিডিও কলে দেখে যে শ্রাবণের তৃষ্ণা মিটে না।
তাইতো শ্রাবণ ঠিক করেছে আজকে সবার জন্য শপিং শেষে  টিকিট কাটতে যাবে ।
দেশে  যাওয়ার জন্য আগামী কালের টিকিট কাটবে।
এখানকার কাজ যেহেতু শেষ হয়ে গেছে তাই এখানে দেরি করে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না।

আজকে সারাদিনে শপিং টিকিট কাটা ব্যাগ গোছানো নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত ছিল শ্রাবণ।
তাইতো আজ তার প্রিয়তমার সাথে কথা বলতে পারেনি।
আচ্ছা তার সাথে কথা না হওয়ায় তার প্রিয়তমারও কী হৃদয় ব্যাকুল হয়ে গেছে?
মনটা ছটফট করছে ওঁর সাথে কথা বলতে।
এই মুহূর্তে তোমাকে কাছে পেলে বুকের ভেতরে পিষে ফেলতাম বৌ।
আফসোস আজ আট মাস হয়েছে আমার বুকের ভেতর খাঁখাঁ মরুভূমি হয়ে গেছে।
এই বুকে সখি নামের  পানির ঝর্না দরকার।
যা এই মরুভূমি কে সতেজ করবে।
বৌ আমি তোমার কাছে আসছি আর মাত্র একটি রাত ।
আল্লাহ সহায় হলে আগামীকাল রাতে এই বুকে তোমার মাথা রেখে শুতে হবে।
ঘড়িতে সময় দেখলাম এখানে এখন দশটা বাজে    আমাকে এয়ারপর্টে ভোর চারটার পৌঁছাতে হবে ।
এখনও অনেক সময় বাকি আছে।
কি করা যায় চিন্তা করছি।
আচ্ছা এখন তো বাংলাদেশে হয়তো মাত্র সন্ধ্যা হয়েছে  আমার সখি রানী এখন  কী করছে ?
ওঁর সাথে ব্যস্ততার কারণে আজকে একটুও কথা বলতে পারেনি।
গতকাল তো ফোনে বাবাকে বলেছিলাম রুনা ও সখিকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসতে।
বাবা ফোন করে বলল, গতকাল সন্ধ্যায় ওদের যেয়ে নিয়ে এসেছে।
আমি ফোন করে সোহাগ ভাইয়াকে বলেছিলাম  সখির সাথে যেন রুনাকে দিয়ে দেয়।
ভাইয়া ইনিয়ে বিনিয়ে বলেছিল রুনার সামনে পরীক্ষা তাই না গেলে ভালো হয়।
আমি ভাইয়াকে আশস্ত করি রুনাকে দুই দিনের বেশি থাকতে হবে না।
সখির কথা চিন্তা করে যেন রুনাকে সখির সাথে পাঠায়।
তাই বাবা ওদের আনতে গেলে ভাইয়া রুনাক যেন সম্ভব হলে তাড়াতাড়ি এ বাড়িতে দিয়ে রায়।

পবিত্র ভালবাসার জোরWhere stories live. Discover now