পর্ব-৪৭

56 2 0
                                    


সোহাগ খালিদকে জরিয়ে ধরে বলল,ভাই আমরা আমাদের বাবার সাথে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ দেরিতে হলেও করতে‌ পেরেছি।

খালিদ বলে, ভাইয়া এইসব কিছু আমরা দুই ভাই একা করতে পারতাম না।
যদি তানি ভাবীর বাবা আমাদের সহযোগিতা না করতো।

আঙ্কেল আমাদের আপদে বিপদে নিজের জীবন বাজি রেখে সাহায্য করেছে।
এমনকি এখনো করে যাচ্ছে।

সোহাগ বলে ,হম ঠিকই বলেছিস ভাই।
খালিদ বলে, ভাইয়া যে ছেলেদের দিয়ে কাজ করানো হয়েছে তাদের সাথে আঙ্কেল দেখা করতে দেয়নি কেন তখন বুঝতে না পারলেও এখন সেটা বুঝতে পারছি।

(খালিদ নিজের লোকের সাথে কথা বলে কাজটি করাতে চেয়েছিল।
কিন্তু তানির বাবা কড়া ভাষায় খালিদ দেখা করতে না করে।
তখন খালিদ তানির বাবার প্রতি কিছুটা মনোখুন্ন  হয়। তখন খালিদের মনে হয়েছে আঙ্কেল এতো জোর দিয়ে মানা করছে কেন।
তাদের কাজটি আঙ্কেল যে লোকগুলো ঠিক করছে তারা করতে পারবে তো?
কাজটা সম্পন্ন হওয়ার পরে খালিদ বুঝতে পেরেছে তানির বাবা বুঝে শুনেই
লোকগুলোকে কাজ দিয়েছে।
খালিদ এসব ভাবছিল এরমধ্যে
সোহাগ বলে,
জানিস খালিদ  আমি আগেই বুঝতে পারছি আব্বু চায়নি লোকগুলো আমাদের চিনে রাখুক ।
কারণ যারা টাকার লোভে আমাদের কাজ করছে তারা যে আরও বেশি টাকার লোভে আমাদের কোন ক্ষতি করবে না।
তার গ্যারান্টি কি?
তাইতো বাবা আমাদের দেখা করতে দেয়নি।
খালিদ বলে,
হম়,
সোহাগ বলল, এসব কথা বাদ দিয়ে এখন আমরা বিয়ে নিয়ে আলোচনা করলে ভালো হতো।
খালিদ বলে,
ভাইয়া কলিজাটাকে বলো ভাবীর সাথে যেন ওর বান্ধীর আলাপ করিয়ে দেয়।
কারণ আমাদের থেকে ভাবী ও যে আমার বৌ হয়ে এখানে আসবে তাকে  ভাবীর সাথে দিনের বেশিরভাগ সময়  কাটাতে হবে ।
তাই আমি মনে করি ভাবীকে ওই মেয়েকে পছন্দ হতে হবে।

সোহাগ বলে,মেয়ের সাথে তোর ভাবীর আলাপ আগে থেকেই আছে।
আর মেয়েটাকে জানিস?
খালিদ বলে,থাক আমার শুনতে হবে না।
তোমাদের পছন্দ হলেই হবে।

সোহাগ হঠাৎ বলে উঠল,মেয়েটি হচ্ছে  দিয়া।
সখির সাথে মাঝে মাঝে আমাদের বাসায় আসতো তুই তো দেখেছিস ওকে।

পবিত্র ভালবাসার জোরTempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang