পর্ব-৩৬

54 3 0
                                    


ইমরান, ইরফান চৌধুরীও ওদের রুমে দিকে গেল।

সখিকে শ্রাবণ কোলে থেকে খাটে শুয়ে দিয়ে বলতে লাগল, বেশি ব্যথা করছে সোনা , একটু সহ্য করো সোনা  সেজান ঔষধ দিলে ব্যথা কমে যাবে‌।  টেবিলের সাথে লেগে কপালের বাম সাইডে একটু কেটে গেছে সখির।
সেখানে থেকেই চুঁইয়ে চুঁইয়ে রক্ত পরছে।
তার বৌয়ের কপালে থেকে রক্ত পরা দেখে শ্রাবণের জান যায় যায় অবস্থা।
সেজানকে দেখে শ্রাবণ বলল,দেখছিস না আমার সখির কপালে থেকে রক্ত বের হচ্ছে তাড়াতাড়ি কিছু কর না ভাই।

সেজান শ্রাবণকে বলল, ভাইয়া তুমি চিন্তা করো না। তুমি একটু শান্ত হয়ে বসো ।
আমি দেখছি একথা বলে সেজান সখির কাছে  এসে কাটা জায়গায় তুলা দিয়ে রক্ত মুছে ডেসিং করে  সেখানে ব্যান্ডিজ করে দিলো।
সাথে একটা পেইনকিলার খেতে দিলো।
শ্রাবণ সখিকে পেইনকিলার  মুখে দিয়ে  খাওয়ায় দেয়।
এতোক্ষণ সখির পাশে সখির দুই ভাই বসে ছিলো।
আর অন্য পাশে ইমরান চোধুরী বসে আছে।
ইরফান চৌধুরী দাঁড়িয়ে ছিল।
সেজানের  ব্যান্ডিজ  শেষ হলে ইরফান চৌধুরী  জিজ্ঞেস করে কেমন অবস্থা ওঁর?
সেজান বলল, কাটা বেশি গভীর ছিল না তবে একটুর জন্য চোখটা বেঁচে গেছে।
ইমরান চোধুরী ভয়ে আছে তিনি তো জানেন সোহাগ ও খালিদ সখির ব্যাপারে কি রকম কনজারভেটিভ।
সে ভয়ে আছে এখন যে ঝড় আসবে তার তান্ডবে না সব তছনছ হয়ে যায়।

এই মুন সোনা তারাতাড়ি এদিকে আসো না বাবা।
মামণি ডাকছি তো ।
মামণি আমি এখন মহা ব্যস্ত  you don't know?
মুনের কথা শুনে তানি হেসে বলে,
এই সোনা তুমি তোমার বাবার মত এতো ইংলিশ ছাড়ো কেন?
একটু বাংলা বললে বুঝতে আমাদের সুবিধা হত।
মামণি তুমি কিছু বুঝ না।
বাবা বলে আমি দেখতে তার মতন হয়েছি  তাইতো আমি বাবার মতই কথা বলি আর তুমি কি বোকা সেটাও বুঝ না।

তানি বলল, ঠিক আছে মুন সোনা বলেছে আমিতো বোকা তাহলে আর কি করার আজকে বিকালে কারো মায়ের আসার কথা ছিল কিন্তু এখন মনে হয় ভুলে গেছি কে আসবে?
বোকারা তো সবকিছু বুঝে বলতে পারেনা।
একথা শুনে মুন তার মামণির কাছে দৌড়ে এসে গলা জড়িয়ে ধরে তার মামণির গালে চুমু দিয়ে বলে,
মামণি তোমার কত বুদ্ধি। তুমি কতো লক্ষী আচ্ছা মামণি আজকে কি আম্মু আসবে?

পবিত্র ভালবাসার জোরWhere stories live. Discover now