পর্ব-৩২

66 3 0
                                    

শ্রাবণের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে কত বছরের  তৃষ্ণার্ত সে।
তার এই তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারবে একমাত্র তার প্রিয়তমা।

শ্রাবণের কাছে থেকে সখি ছাড়া পেতে ছটফট করতে লাগলো,
সখির ছটফটানি দেখে শ্রাবণ বলল,এ জন্যয় তো তোমাকে বেশি করে খেয়ে শক্তি বানাতে বলছিলাম।
কিন্তু মিসেস শ্রাবণ চৌধুরী শুধু ছটফট করছো নিজেকে ছাড়াতে আমার সাথে শক্তি খাটাতে পারছ না?
যদি খেয়ে শক্তি বানাতে তাহলে   আমার থেকে ছাড়া পেতে এতো কষ্ট হতো না বৌ।

শ্রাবণের কথা শুনে সখি বিরবির করে বলতে থাকে মানুষ হলে ঠিকই পারা যায় রাক্ষসের সাথে মানুষ কি শক্তিতে পারে নাকি?

সখির বিরবির শুনে শ্রাবণ তার ওষ্ঠদিয়ে সখির ঠোঁটের পাশে তিঁলে ছুঁয়ে দিয়ে সখিকে ওঁর বুকের ওপরে নিলো।
একহাতে  সখিকে জরিয়ে ধরেছে অন্য হাত দিয়ে ওঁর ভিজা চুলে হাত দিয়ে বুলিয়ে দিচ্ছেলো শ্রাবণ।
তখন সখি শ্রাবণকে বলল, রুমে এসেছেন অনেকক্ষণ হয়েছে বাড়িতে এসেছেন কখন কে জানে এখনো তো ফ্রেস হলেন না?

এ কথা শুনে শ্রাবণ বলে,শুনেন মহারানি আমি বাসায় এসে নিচের ওয়াশ রুমে হাত মুখ ধুয়েছি বুঝতে পেরেছেন।
আর আমি আপনাকে তুমি করে বলতে বলছি কিন্তু আপনি এখনও তা ডাকতে চেষ্টা করছেন না।
জানতে পারি চেষ্টা না করার  কারণ কী?
সখি আমতা আমতা করে বলল, আমার সময় লাগবে আপনাকে তুমি করে বলতে প্লিজ এ বিষয়ে আমাকে জোর দিয়েন না।
আর আপনি কি আজকে খাবেন না ?
দেরি হয়ে যাচ্ছেতো চলেন আমরা নিচে যায় ।
সখির কথা শুনে বলল, ঠিক আছে তোমার মুখে তুমি করে ডাক শুনতে  তোমাকে দুই মাস সময় দিলাম ।
কিন্তু এরপর আর সময় পাবে না।
সখি বলল,ঠিক আছে সময়ে মধ্যেয় বলার চেষ্টা করবো। এখনতো খেতে  চলেন ।

শ্রাবণ বলে,ক্ষুধা লেগেছে একথা সত্যি কিন্তু এখন খাব না বৌ।
এতো দিন তোমার থেকে দূরে থেকে আমার বুকের ভিতরে অনবরত জ্বলছে গো বৌ।
তাই এখন কিছুক্ষণ তোমাকে আমার বুকে রেখে আমার  বুকের সে জ্বালা ঠান্ডা করব। তারপর নাহয় ফ্রেস হয়ে দুজনে একসাথে খেতে নিচে যাব।
এর আগে না তুমি নিচে যাবে না আমি আমি তোমাকে বুঝতে পেরেছি সোনা?

পবিত্র ভালবাসার জোরKde žijí příběhy. Začni objevovat