শ্রাবণ একবারও তার স্ত্রীর মুখের দিকে ফিরে তাকালেন না
এই মুহূর্তে তার মনে সখি এবং তার বাবার প্রতি খোঁভ জন্মেছে।
কারণ ইমরান চৌধুরী তার নিজের বাবা হয়েও ছেলের কথা চিন্তা করেনি বরং বন্ধুর কথা ভেবেছেন।
তাকে ব্লাকমেইল করে এই গাঁইয়া মেয়ের সাথে বিয়ে করতে বাধ্য করেছে।
শ্রাবণের এখানের পরিবেশ বিষাক্ত লাগছে মনে হচ্ছে আর এক মুহুর্ত এখানে থাকলে দমবন্ধ মারা হয়ে যাবেন।
বাঁচতে হলে তাকে এখানে থেকে দূরে যেতে হবে
কথাটা ভেবে শ্রাবণ ইমরান চৌধুরীকে বলে,
বাবা তোমার সাথে আমার কথা আছে একটু এদিকে আসবে?
ইমরান চৌধুরী ছেলের ডাক শুনে বললেন,কি কথা বাবা?
শ্রাবণ তার বাবার প্রশ্ন শুনে মনে মনে রাগে ফেটে পড়লেন
তবে বাহিরে তা বুঝতে না দিয়ে নিজেকে শান্ত রেখে বললেন, বাহিরে এসো তারপর বলছি।
ইমরান চৌধুরীর কাছে ছেলের মতিগতি ভালো লাগলো না ভয় হচ্ছে ছেলের চোখ মুখ লাল দেখে।
কখন কি বলে ফেলবে তা তে না আবার ওদের সবার কাছে সে লজ্জায় পড়ে যায়।
কথাটা ভেবে ছেলে কি বলতে চাচ্ছে তা শুনতে ওদেরকে আসছি বলে বাহিরে চলে আসলেন।
ইমরান চৌধুরী বাহিরে এসে বললেন, কি হয়েছে তোর?
এতো ছটফট করছিস কেন ?
দেখছিস না ওদের সাথে আমি কথা বলছিলাম?শ্রাবণ তার বাবার কথা শুনে বললো,কি আর হবে!
তুমি যা চেয়েছো তা তো করিয়ে নিয়েছো।
তাছাড়া আমার জানা মতে আমাকে তুমি যে কাজের জন্য ঢাকা থেকে এখানে এনেছিলে তোমার সেই কাজ তো শেষ
ইমরান চৌধুরী ছেলের কথা শুনে বলে, তুই আমার ছেলে তাহলে আমার দেওয়া দায়িত্ব পালন তুই করবি না তো কে করবে?
তুই এমন করছিস কেন?
শ্রাবণ তার বাবাকে বললো,আমাকে এখনই ঢাকা যেতে হবে
অফিসে থেকে ফোন এসেছে ওখানে কাজ আছে।
তাছাড়া তুমিও নেয় তাই আমাকে তো ওদিক দেখতে হবে।
ইমরান চৌধুরী ছেলের কথা শুনে বললেন, তুই আজ চলে গেলে সবাই কি ভাববে?
শ্রাবণ সে কথা শুনে বলে, কে কি ভাবলো তা আমার দেখার বিষয় না!
আর যদি আমাকে তুমি এখানে জোর করে রাখার চেষ্টা কর তো সেটা আমাদের ব্যাবসার জন্য ভালো হবে না।
তাছাড়া আমাকে জোর করে এখানে রাখলে তোমার হিতে বিপরীত হতে পারে।
ইমরান চৌধুরী শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে বললেন,তুই কি বললি?
শ্রাবণ তার বাবাকে বলে, আমি বলছি আমায় জোর করে রাখলে ওদের কে এমন কিছু বলবো বা এমন কিছু করে ফেলবো যে তাতে তোমার মান সম্মান ক্ষুন্ন হবে।
ইমরান চৌধুরী শ্রাবণের কথা শুনে মনে মনে ভাবলো এ ছেলে যে জেদ তাতে ওকে দিয়ে বিশ্বাস নেয়।
কখন কি করে ফেলে তা ভেবে
তিনি শ্রাবণকে বলল ,তোর যেতে হলে যাবি।
এতে সমস্যা কি!
তবে যাওয়ার আগে ওদের বলে সুন্দর মত বিদায় নিয়ে তারপর যা।
শ্রাবণ তার বাবার দিকে তাকিয়ে বলে, বাবা আমি কখনো ভাবিনি তুমি আমার সাথে এমন কিছু করবে?
শুনো বাবা, তোমাকে আজ একটা কথা বলছি তুমি যত চেষ্টায় করো না কেন?
এই আনকালচার লোক গুলোকে আমি কখনো আপন ভাবতে পারবো না।
ইমরান চৌধুরী ছেলের কথা শুনে রেগে গিয়ে বলেন, বেয়াদব ছেলে ভাষা সংযতো করো ।
ওদের আরেক বার আনকালচার বললে, মুখে কথা বলার জন্য দাঁত থাকবে না।
শ্রাবণ অবাক হয়ে বললো, বাবা!
ইমরান চৌধুরী তা শুনে বলে,কি বাবা?
আমার ছেলে হয়ে বেয়াদব এর মত বড় বড় কথা বলার জন্য থাপ্পড় মেরে তোমার সব দাঁত ফেলে দেওয়া উচিত।
CZYTASZ
পবিত্র ভালবাসার জোর
Romansস্বামীর শত অবহেলা, অপমান সহ্য করে । নিজের সমস্ত ভালবাসা উজাড় করে দিয়ে । স্বামীর ভালবাসা অর্জনের গল্প।