গল্পঃ #পবিত্র ভালবাসার জোর।
পর্বঃ ২৮।
লেখাঃ#মেহের।নিজে তো ভাইদের কাছে
শান্তিতে আছো নিষ্ঠুর একটা। আজ এতদিন হয়ে গেছে আমার সাথে কি একটু কথা বলেতেও বুঝি তোমার মন চায় না।কালকে তোমায় দেখে নিব
কত ছটফট করতে পার।সকাল থেকে সোহাগদের বাসায় রান্নাবান্নার তোরজোর চলছে।
তাদের ছোট মা রান্না করছে তানি, সখি তাকে হেল্প করছে।
রুনা তাদের আসে পাশে ঘুরঘুর করছে।তানি রুনা কে এমন করতে দেখে বলতে লাগল এরপর কিন্তু তোমার পালা।
ভাবী আমার পালা যেহতু কি করতে দিবে তাড়াতাড়ি দাও?
তানি ওঁর কথা শুনে হেসে দিলো,
বলতে লাগলো তা আমার ছোট ননদির বিয়ের যে এত সখ আছে তা তো জানি না বাবা।ছি ছি ভাবী এ গুলো কি বল, তোমার লজ্জা করে না এসব কথা বলতে?
দাঁড়াও ভাইয়া কে বলে দিব তুমি আমাকে পঁচা কথা বলেছ।আরে আমি পঁচা কথা কখন বললাম আমি বলেছি সখির পরে বিয়ের পালা তোমার।
তুমিই তো দাও দাও করলে আর এখন আমার দোষ হয়ে গেল?
এহ্ তখন তুমি এভাবে বল নাই। এখন মিথ্যা কথা বলছো কেন?আর শুন ভাবী আমি এখন মাত্র নবম শ্রেণীতে পড়ি আগে বড় হয় । আমি তো এ বাসার ছোট রাজকুমারী তাই একটা রাজপুত্র দেখে বিয়ে করব । কথাটা এমন ভাবে বলছে যে,
ওঁর কথা শুনে সবাই হেসে দিল। রুনা রেগে ভাইদের কাছে গেল,
সোহাগ তার ছোট বোনের গোঁমড়া মুখ দেখে বলল, আমার পাখির মন খারাপ কেন?
কে কি বলেছে?
সবাই কি এটা জানে না ,আমার দুই বোন হচ্ছে আমাদের রাজকুমারী তাদের মন খারাপ করছে এত বড় সাহস কার?
জানো ভাইয়া, আমি বলেছি আমি যেহতু রাজকুমারী তাই বড় হয়ে কোন রাজপুত্র বিয়ে করব এ কথা শুনে ,সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে।সোহাগেরও হাঁসি পেল ছোট বোনের কথার ধরন দেখে কিন্তু সে হেসে দিলে পাগলিটা অভিমান করবে।
এমনিতেই বাবা মারা যাবার পর থেকে ওঁর রাগ, অভিমান, অভিযোগ, ভালবাসা সব আবদার আমার ও খালিদের কাছে।
আমাদের সখি যতটা শান্ত চুপচাপ ইনি ততটাই চঞ্চল প্রকৃতির।
এই ভাইয়া তুমি কোথায় হারিয়ে গেল?
রুনার ডাক শুনে সোহাগ বলতে লাগল , তুই আমার সাথে আয়তো দেখি কার এতো সাহস আমার পাখিকে নিয়ে হাসাহাসি করে?
রুনা বলল,না থাক তুমি বকা দিলে সবাই মন খারাপ হবে।
![](https://img.wattpad.com/cover/243423276-288-k78020.jpg)
ŞİMDİ OKUDUĞUN
পবিত্র ভালবাসার জোর
Romantizmস্বামীর শত অবহেলা, অপমান সহ্য করে । নিজের সমস্ত ভালবাসা উজাড় করে দিয়ে । স্বামীর ভালবাসা অর্জনের গল্প।