আজকে থেকে তুমি আমাদের ছোট ভাবী।
এ কথা শুনে তানি বলে উঠে হ্যাঁ দিয়া তুমি ওদের ছোট ভাবী আর আমি তোমার জল্লাদ বড় ঝা মনে থাকে যেন দেবরানি।রুনা ও সখি দিয়াকে ছেড়ে তানির কাছে এসে তানিকে দুপাশে থেকে জরিয়ে ধরে বলে, তুমি হচ্ছো আমাদের মিষ্টি ভাবী।
আর কখনো দুষ্টুমি করে জল্লাদ বললে খবর আছে কিন্তু।ওদের কথা শুনে সে সময় দিয়াও ওদের পাশে দাঁড়িয়ে বলে,
তোমাদের সবার হৃদয়ে আমাকে অল্প একটু জায়গা দিলেই আমি খুশি।
আর বড় ভাবী আমার সোভাগ্যো যে তোমাদের পরিবারের আমি একজন সদস্য হতে চলেছি।
তানি বলে, আচ্ছা তাই নাকি?দিয়া বলে, হ্যাঁ গো,আর ভাবী টাকা পয়সা থাকলেই সবাই সুখ পায়না।
তা আমি তোমাদের পরিবারকে দেখে বুঝতে পেরেছি।
তোমাদের নিজেদের মধ্যে যে মিল বন্ধন আছে তা আজকাল খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
তোমাদের দেখলে বুঝা যায় পরিবারের সদস্যদের কিভাবে ভালবেসে এক সুতোয় বাঁধা যায়।
দিয়ার কথা শুনে তানি বলে, হয়েছে বলা ,
এবার শুনো তুমি ভালো তাই আমাদেরকে ভালো দেখছো।
মানুষ নিজেকে দিয়েই অন্যের বিচার করলে আর কোন অশান্তির সৃষ্টি হয় না।আর আজকে থেকে একটা কথা মনে রাখবে, এই পরিবার ও পরিবারের সব সদস্য তোমার সেটা যেন কখনো ভুলো না বোন।
আরেকটি কথা কি জানো, তুমি আর আমি আসলেই ভাগ্যোগুনে এমন একটি পরিবারের বৌ হয়েছি।যেখানে মায়ের মত শাশুড়ি , বোনের মত দুই ননদ আর ভাইয়ের মত দেবর, ভাসুর আমরা পেয়েছি।
সখি বলে,বলো আরও বলতো আহ্ শুনতে ভালই লাগে নিজ পররিবারের সুনাম তাই নারে রুনা?
রুনা বলে, তাইতো মনে হচ্ছে আপু।
দুই বোনের কথা শুনে দিয়া ও তানির বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না দুষ্টুগুলো ওদের কথার মজা নিচ্ছে।
তানি হালকা করে রুনার কান মলে দেয়।
খুনসুটিতে মেতে উঠেছে ওঁরা সবাই।বড়রা সবাই মিলে ঠিক করে আর দশদিন পরে ওদের বিয়ে হবে।
মেয়ের বাবা খালিদকে গাড়ি ও আরও অন্য উপহার দিতে চাইলে।
খালিদ বলে, আমি এসব নিবো না।
আমার কাছে আপনার এগুলোর উপহার থেকে আপনার মেয়েই বেশী মূল্যবান।
তাই এইগুলো দিয়ে আমার চোখে তাকে ছোট করবেন না।
VOUS LISEZ
পবিত্র ভালবাসার জোর
Roman d'amourস্বামীর শত অবহেলা, অপমান সহ্য করে । নিজের সমস্ত ভালবাসা উজাড় করে দিয়ে । স্বামীর ভালবাসা অর্জনের গল্প।