নীলা সাথে সাথে আনিসা কে উদ্দেশ্য করে বলে তুই আর ভুলেও সখি বা রুনার পিছনে লাগতে আসিস না।
তাহলে তোকে বোনের মেয়ে ভেবে কিন্তু আর ছেড়ে দিবো না কথাটা মনে রাখিস।
ওদের থেকে দূরে থাকবি এতেই তোর ভালো হবে।আর তোর মত চরিত্রহীন মেয়ের ওদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস হয় কি করে আমার মাথায় আসে না!
এসব শুনে আনিসা রাগে কিড়মিড় করছে।
আনিসা সিদ্ধান্ত নিয়েছে নীলের সাথে আর থাকবে না।
নীলকে ছেড়ে ইফাতকে বিয়ে করবে তাহলেই নীলা বানুর শিক্ষা হবে।
ইফাত আর ওঁর শেয়ার মিলে নীলের থেকে ১৫% বেশি হবে।
তখন খেলা জমবে।
এসব ভেবে আনিসা গটগট করে ওখান থেকে চলে আসা।
কিন্তু আনিসা তো জানে না তার কাছে থেকে নেশার ঘোরে
নীলের নামে ২০% শেয়ার লেখা নিয়েছে।
তাইতো নীলা দাপটে কথা বলতে পেরেছে।
আনিসার লোভেয় তাকে শেষ করবে।
এখন ওঁর শেষ হওয়া শুধু কিছু সময়ের ব্যাপার ।
তাই এখন তা উড়তে চায় উড়েনেক।এরপর আর কখনো আনিসা নীলা ও
শ্রাবণের ভয়ে সখির পিছনে লাগতে আসেনি।
তবে আজকে সবাই বসে বিকালে নাস্তা করছিল সে সময় আনিসা ওদের সামনে দিয়ে গিয়ে নীলের কাছে দাঁড়িয়ে একটা কাগজ এগিয়ে দিয়েছে।নীল হঠাৎ আনিসা কে সামনে কাগজ হাতে দাড়ানো দেখে বলে উঠল,কী চায় এভাবে সামনে দাঁড়িয়ে আছো কেন?
আনিসা বলল,এটাই সাইন করে দাও।
নীল বলে ,কিসের কাগজ এটা?
আনিসা বলে,আমাদের তালাকের কাগজ আর তুমি না শিক্ষতো তাহলে জিজ্ঞেস না করে পড়ে দেখছো না কেন?
নীল এতো দিন মনের সাথে যুদ্ধ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আর যাই হোক চরিত্রহীন স্ত্রীর সাথে সংসার করবে না।
আর এখন যেহেতু ওঁর কম্পানি নিয়ে টেনশনে নেয় ।
তাই এরসাথে আর সংসার করার দরকার নেই।
তাই নীল সাথে সাথে তালাকের কাগজ হাতে নিয়ে সাইন করে দেয়।
আনিসা ভাবতেই পারেনি এতো সহজে নীল সাইন করে দিবে।
সেতো নীলের মনের খবর জানে না।
এখন তার চোখে ইফাত ছাড়া কিছুই দেখছে না।
![](https://img.wattpad.com/cover/243423276-288-k78020.jpg)
ESTÁS LEYENDO
পবিত্র ভালবাসার জোর
Romanceস্বামীর শত অবহেলা, অপমান সহ্য করে । নিজের সমস্ত ভালবাসা উজাড় করে দিয়ে । স্বামীর ভালবাসা অর্জনের গল্প।