পর্ব-৩৫

56 3 0
                                    

নীলার রুমে বসে ,নীলা, আনিসা ও জিনিয়া একটা প্লান করছে সেটা যদি কাজে লাগে তো সখিকে এ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে ওদের ঠেকায় কে?

তিনমাস হলো সখি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছে।
ওঁ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির চান্স পেয়েছে।
সখিদের বাসার সবাই এবং সেজান, ইমরান চোধুরী ও শ্রাবণ সবাই ভীষণ খুশি হয়েছে।
সখি ঢাকার ভিতরে চান্স পাওয়াতে।

সখি কিছুদিন হলে থেকে ক্লাস করে আবার শ্বশুর বাড়িতে থেকেও কলেজে যায়।

সখির পড়াশোনার ব্যস্ততা দিন  দিন  বেড়েই চলেছে।
তবে এর মাঝে সখির প্রতি‌ শ্রাবণের কেয়ার, ভালবাসা একটু কমেনি বরং আরও বেড়েছে।
ওদের দিনকাল ভালোই চলছে।

এদিকে
সেজানের আজকাল কিছু ভালো লাগে না।
সে স্পর্শের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।
সেজান এই মেয়েটাকে এখনও ঠিক মতো বুঝতে পারে না।
কখনো কখনো স্পর্শ এমন ভাবে কথা বলে তখন মনে হয় মেয়েটার এখনও বাচ্চা ভাব কাটেনি ।
সে ভার্সিটিতে পড়ে কিন্তু তার কথায় মাঝে মাঝে মনে হয় কোন কিশোরী মেয়ে।
সেজানের মনে স্পর্শ  শুধু বয়সেই বড় হয়েছে মনের দিক থেকে এখনও তেমন  পরিপক্ব  হয়নি।
তবে এই অপরিপক্ক মেয়েটি তার হৃদয়ের  দখল নিয়ে বসে আছে।
মাঝে মাঝে  ওকে দেখতে সেজানের মনটা আনচান করে উঠে।
কিন্তু এ মেয়ের এক কথা বিয়ের আগে দেখা যাবে না।
সেজান বিরবির করে বলছে,স্পর্শ তুমি কেন বুঝতে পারছ না তোমাকে ছাড়া আমার সব কিছু যে বিষাদময় মনে হয়।
ছোট থেকে আমার আসে পাশে কখনো তো মেয়েদের সংখ্যা কম ছিল না।
কখনো তো কারো প্রতি কোন ফিলিংস হয়নি।
কিন্তু তোমার কাছে না এসে তোমাকে না দেখেও কি মোহে জরিয়ে ফেললে আমায় এর থেকে নিস্তার মিলবে কবে?

স্পর্শ কবে পাব তোমাকে আমার বুকে বৌ রূপে।

স্পর্শের লুকোচুরি ভালবাসা দেখে ইদানিং সেজানের ভয় হয়  মেয়েটি কখনো আবার হারিয়ে যাবে না তো?
নাহ্ এভাবে চলছে না।
আমাদের বিয়ের জন্য বুঝাতে হবে স্পর্শকে সে যেন রাজি হয়ে যায় ।
ডাঃ সেজানের শান্তিপূর্ণ জীবনে স্পর্শ নামক প্যারা ঢুকে গেছে।

পবিত্র ভালবাসার জোরTahanan ng mga kuwento. Tumuklas ngayon