পর্ব -১০

41 1 0
                                    


হসপিটালে আসার পর থেকে এখনও মাষ্টার সাহেবের পরিবারের সদস্যরা তার সাথে দেখা করতে পারেনি।
অবশ্য তার সাথে দেখা করার থেকে সেই মুহূর্তে রক্ত দরকার ছিল আগে।
সে সময়ে বাবার সাথে দেখা করার থেকে সোহাগ ও খালিদ তার বাবাকে রক্ত দেওয়া বেশি জরুরী কাজ মনে করেছে।
বাবাকে  রক্ত দেওয়া শেষ হলে তারা দুজন ডাক্তার রিজভীর কাছে যান।
সোহাগ তাকে  বললেন ,
রিজভী ভাইয়া আমরা বাবার সাথে দেখা করতে চাই।
ডাঃ রিজভী ওদের কথা শুনে বললেন, তোমরা এই মাত্র রক্ত দিয়েছো তাই একটু রেস্ট নেও।
তার কথা শুনে দুই ভাই একসাথে বললো, আমাদের রেস্ট এর দরকার নাই।
প্লিজ  বাবা কে দেখতে দিন।
বাবার মুখ না দেখা পর্যন্ত শান্তি পাব না,প্লিজ ভাইয়া আমাদেরকে বাবার সাথে দেখা করতে দিন?
রিজভী ওদের কথা শুনে বলল,আরে বোকা  আমি কি বলছি দেখতে দিবো না!
আর আমি তো জানি তোমরা সবাই তোমাদের বাবাকে কতটা ভালোবাসো।
ঠিক আছে যাও দেখে এসো।
তবে  সোহাগ সবাই একসাথে ভিতরে যেও না দুজন দুজন করে যাও।
ডাঃ রিজভীর সাথে আশরাফ মাষ্টার এবং তার পরিবারের সম্পর্ক অনেক ভালো।
এই হসপিটালে পোষ্টিং হয়ে আসার পর থেকে সবসময় আশরাফ মাষ্টার নিজে বা  তার  ছেলেকে দিয়ে ডাক্তার সাহেবের খোঁজখবর নিতেন।
যেহেতু ডাঃ রিজভী ঢাকার ছেলে তাই এখানে থাকতে সমস্যা হচ্ছে কিনা।
সবচেয়ে বড় কথা গ্রামের সাধারণ মানুষের সেবা করতে ডাঃ রিজভী এই হসপিটালে জয়েন করেছেন।
সেজন্য আশরাফ মাষ্টার তাকে অন্যদের থেকে  আলাদা চোখে দেখতেন।
সেই থেকে ডাঃ রিজভীর সঙ্গে তাদের গভীর সম্পর্ক।
সোহাগ খালিদকে বলল যা ছোট মা ,সখি ও রুনা কে নিয়ে আয়।
(ওদের ছোট মার নাম হচ্ছে রুবিনা আর সবার ছোট বোনের নাম রুনা।)

সোহাগ সখি কে নিয়ে তার বাবার কাছে গেলেন।
রুমের মধ্যে ঢুকে দুই ভাই বোনের জ্ঞান হারানোর দশা তাদের বাবাকে দেখে।
তার বাবার  শরীরে ও মাথায় ব্যান্ডেজ করা,
সন্ধ্যায় যে মানুষটা ঠিক ছিলো
তার এমন অবস্থা ওরা কি করে মানবে?
সখি তো তার বাবার এমন অবস্থা দেখে বাবা বলে জোরে চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারানোর অবস্থা।

পবিত্র ভালবাসার জোরOnde histórias criam vida. Descubra agora