গল্পঃ#পবিত্র ভালবাসার জোর।
৫০ ও শেষ পর্ব
লেখাঃ#মেহের।সকাল থেকে দুজনেরই মুনকে না দেখে খারাপ লাগছিল তাই ওঁরা মুনকে দেখার জন্য আসে।
সখি ওদের বাড়িতে এসে
দেখে তাদের ছেলে এখানে এসে সখকে নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।
মা ও বাবা এসেছে সেদিকে তাকিয়ে মায়ের কাছে দৌড়ে এসে বাবা ও মাকে জরিয়ে ধরে কিছুক্ষণ থেকেই আবার সখের কাছে চলে আসে।শ্রাবণ ফিসফিসিয়ে সখিকে বলে, মুনের জন্য তাড়াতাড়ি বোন দরকার সোনা।
নাহলে সখের নিস্তার নেই।
ঐ দেখো আমাদের ছেলে সখ বলতে পাগল।
সখি শ্রাবণের কথাতে লজ্জা পেয়েছে তা বুঝতে না দিয়ে ওদের দিকে তাকালো।
এতোক্ষণে মুন তার সব কথার ঝুলি খুলে বসেছে সখের সামনে।
পিচ্চি মানুষ এতো কথা বুঝতে না পারলেও তার মুন ভাইয়াকে মাথা ঝাঁকিয়ে ও হাত নাড়াতে চাড়াতে দেখেই ভীষণ খুশি। তাইতো সখ দুই হাত ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে খিলখিলিয়ে হাসছে এতে মুন খুশি হয়ে যায়।
ভাবে তার ছোট পুতুল তার সব কথা বুঝে।দুজনকে হাঁসি খুশি দেখে শ্রাবণ মুনের কাছে এসে বসে মুনকে তার এক পায়ে বসালো আর অন্য পায়ে সখকে নিয়ে ওদের আদর করে দিচ্ছে আর জোরে জোরে বলতে শুরু করল,
ভাবী ও ভাবী এবারে কিন্তু মেয়েকে নিয়েই যাব।
নাহলে যে আমার ছেলেটা এ বাসায় একবারেই এসে পরবে।তানি হেসে বলে, ছেলে আমাদের দিয়ে দিলেই তো ভালো হয়।
তাহলেই তো সব ঝামেলা মিটে যায়।
তা না করে দুলাভাই আপনি বাড়ির সব মেয়ে যদি আপনাদের বাড়িতেই নিয়ে যান তাহলে তো এ বাড়িতে আঁধারে ছেয়ে যাবে।
এমনিতেই তো দুটো উজ্জ্বল নক্ষত্র নিয়ে গেছেন।
শ্রাবণ হেসে বলে, ইস্ শুধু আমাদের কাছেই বুঝি উজ্জ্বল নক্ষত্র আছে!
বড় ভাইয়ের কাছে তো দুটো উজ্জ্বল নক্ষত্র আবার ছোট ভাই দুদিন পরে এক নক্ষত্রকে ঘরে তুলবে।
কদিন পরে দেখা যাবে তো এ বাড়িতে নক্ষত্রের মেলা বসবে।তানি শ্রাবণের কথা শুনে বলল, আপনাদের দুই ভাইয়ের সাথে কথায় না আগে কখনো পেরেছি যে আজ পারবো।
ওদের দুষ্টুমি করতে দেখে রুনা ও সখির মন খুশিতে ভরে উঠল।
সখি ও শ্রাবণের সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার পরে থাকে তানি শ্রাবণের সাথে তেমন কথা বলতো না।
কিন্তু এখন সব আগের মতো হয়ে যাচ্ছে তাতেই দুই বোন খুশি।
![](https://img.wattpad.com/cover/243423276-288-k78020.jpg)
BINABASA MO ANG
পবিত্র ভালবাসার জোর
Romanceস্বামীর শত অবহেলা, অপমান সহ্য করে । নিজের সমস্ত ভালবাসা উজাড় করে দিয়ে । স্বামীর ভালবাসা অর্জনের গল্প।