পর্ব-৪৪

60 2 0
                                    

সেজান দাঁড়িয়ে রুনার দিকে ফিরে রুনাকে পাঁজাকোলে নিয়ে সোফায় বসে নিজের ওষ্ঠ ধারা রুনার ঠোঁট দখল করে নিয়েছে।
রুনা চেষ্টা করেও নিজেকে....

সেজানের ভালবাসা বাসি শেষ হলে সেজান বলল,
তা আমার জানটা এতো রাতে এসেছে শুধু কি আমাকে সারপ্রাইজ দিতে!
না অন্য কোন মতলব আছে?

রুনা বলল, এখন থেকে আমি তোমার সাথে এখানেই থাকবো তাই চলে এসেছি।
সেজান এ কথা শুনে হঠাৎ বলে উঠল, সোনা তুমি কি কারো কথায় কষ্ট পেয়েছো,
যে একবারেই এসে পড়লে তা বলছো।
রুনা বলে, ইস্ আমাকে আবার কেউ কষ্ট দিতে পারে?

তাহলে হঠাৎ এসে পড়লে যে,আর লক্ষীটি বুঝতে চেষ্টা করো ভাবীর তোমাকে দরকার পড়তে পারে।
আমি জানি, আমাকে ছেড়ে থাকতে তোমার কষ্ট হচ্ছে কিন্তু আমাদের আপন জনের জন্য এই কষ্ট আমাদের মেনে নিতে হবে।
রুনা এ কথা শুনে বলে,দেখো ডাঃ তুমি একাই শুধু আপনজনের কথা ভাব না! আমার ভাবনাতেও তারা থাকে।
এটা কেন ভুলে যাও তোমার আপনজন কিন্তু আমারও আপনজন।
সেজান বলে,
আমি জানি তো সোনা তুমি আমার কথায় কষ্ট পেয়েও না প্লিজ।

হম, আমি কি আমার ডাঃ সাহেবের কথায় কষ্ট পেতে পারি!
এই শুনো তোমাকে তো বলতে পারিনি।
আপু না এসে পরেছে এখানে।
আর এখন থেকে দুলাভাইয়ের সাথেই থাকবে বলেছে।

রুনার কথা শুনে সেজান চিৎকার করে বলল,কী? কখন এলো? তাহলে এতো দিন পরে আমার বেচারা ভাইয়ের ওপরে তার সুদৃষ্টি পড়ল আর সখি ভাবীর এমন সূমতী হলো কবে?

এতো প্রশ্ন একসাথে করলে উত্তর দিবো কি করে!
আর শুনো একদম বাজে কথা বলবে না।
আপুর রাগ করার যথেষ্ট কারণ ছিল তা কিন্তু তোমার অজানা নয়।
সেজান বুঝতে পারল ওঁর কথায় বৌ ক্ষেপে বোম হচ্ছে।
কখন আবার বোম ব্লাস্ট হয়ে যায় সে ভয়ে বলল, সোনা টিয়া ময়না আমরা তাদের বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছি কেন?
আর শুনো এখন রাতে কোল বালিশ ধরে ঘুমাতে হবে না
তাতেই আমি ভীষণ খুশি গো।
আহ্ কতদিন পরে বৌকে জরিয়ে ধরে নিজের রুমে ঘুমাতে পারবো তা ভেবেই কেমন সুখ সুখ অনুভুতি হচ্ছে সোনা।
রুনা সেজানের কথায় জালে আটকে গেছে।
ওঁরোতো স্বামীর কাছে থাকতে মন আঁকুপাঁকু করতো ।
এত তাড়াতাড়ি সে আসা পূর্ণ হয়ে যাবে ভাবতে পারছে না।

পবিত্র ভালবাসার জোরDonde viven las historias. Descúbrelo ahora