২.
“ডোন্ট ওরি! আমি তোমার প্রতি ইন্টারেস্টেড নই, তুমি আমার টাইপ নও” প্রথম ফলটা খাওয়ার পরেই বলল মায়ূমী।
কাঁধ নাচাল যিয়াদ, যেন ব্যাপারটা থোড়াই কেয়ার করে ও। আর মনে মনে বলল, তুমিও আমার টাইপ নও মায়ূমী। যে মেয়ে পোশাক চেঞ্জ করার মত বয়ফ্রেন্ড চেঞ্জ করে, সে আর যাই হোক, আমার টাইপ কখনোই হতে পারেনা।
যিয়াদের প্রতিক্রিয়া দেখে ভ্রু কোঁচকাল মায়ূমী, কিন্তু কিছু না বলে খাওয়ার দিকে মনযোগ দিল।
দুটো ফল খাওয়ার পর হঠাৎ যিয়াদের মনে পড়ল মেয়েটার প্রথম প্রশ্নটা। সাথে সাথে জিজ্ঞেস করল ও, “হেই, তুমি কি আমাকে চিনো?”ঘাড় ঘুরাল মায়ূমী, “চিনি বলতে লাইব্রেরিতে দেখেছি তোমাকে, রুডম্যান”
ও আচ্ছা ভঙ্গিতে মাথা ঝাঁকাল যিয়াদ। বোধবুদ্ধি ফেরার সাথে সাথেই ও মায়ূমীকে চিনতে পেরেছে । এই মেয়ে অলমোস্ট পুরো উইনিভার্সিটির হার্টথ্রব, সেই সাথে ওর মরক্কান ফ্ল্যাটমেট রুম্মানের বর্তমান অবসেশন। যতক্ষণ সামনে থাকে একে নিয়েই বকবক করতে থাকে। তাই মেয়েটার সম্পর্কে না চাইতেই অনেক কিছু জানে ও। সেসব তথ্যের ভিত্তিতে এই মেয়ের মাথার উপর 'একশো হাত দূরে থাকুন' লেখা সাইন জ্বলজ্বল করছে। কিন্তু এই মেয়ে ওর মত একটা লাইব্রেরি এসিস্ট্যান্টকে নোটিস করেছে, এ তো বিশাল আশ্চর্যের ব্যাপার। কিন্তু কী বলে ডাকল ওকে?
“রুডম্যান! কে রুডম্যান? বাই এনি চান্স তুমি কি আমাকে রুম্মানের সাথে গুলিয়ে ফেলছো?” আরে বাহ! এই মেয়ে ওর নাম জানে, রুম্মান শুনলে তো আকাশে উড়বে, ভাবল যিয়াদ।
হাসল মায়ূমী, “কারো সাথে গুলাইনি। তুমি তো এই নামেই পরিচিত, তুমি জানোনা?”
“কিহ! আমি কী নামে পরিচিত?” তিন নাম্বার ফলটা মুখে পুরতে গিয়েও থমকে গেল যিয়াদ।
“টল-ডার্ক-হ্যান্ডসাম ম্যান, বাট ঠু রুড! মেয়েরা তাই তোমার নাম দিয়েছে রুডম্যান, শুনেছি আমি” বিরতিহীনভাবে একটার পর একটা ফল খেয়ে যাচ্ছে মায়ূমী। ওর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে ফলের টকমিষ্টি স্বাদটা বেশ পছন্দ হয়েছে ওর।
ESTÁS LEYENDO
ঊর্ণাজাল
Ficción Generalযুবক বাংলাদেশী, যুবতী আমেরিকান। একজন মুসলিম, অন্যজন খ্রিস্টান। কী হবে, যখন তারা আটকে পড়বে আটলান্টিকের বুকে জনমানবহীন ছোট্ট এক দ্বীপে?