পর্ব - ৪

149 3 7
                                    

পর্ব-৪

ঘুম থেকে উঠে বিরস বদনে বসে আছে মায়ূমী। 
“কোন সমস্যা?” প্রশ্ন না করে পারল না যিয়াদ।
“রবিনসন ক্রুসো হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না” রাজ্যের হতাশা কণ্ঠে ঢেলে জবাব দিল ও। চকিতে একটা প্রশ্নবোধক দৃষ্টি নিক্ষেপ করল যিয়াদ।

“আমি ভাবতে পারছিনা রবিনসন ক্রুসো দিনের পর দিন টুথপেষ্ট ছাড়া কীভাবে ছিল! ইয়াক!”

“ও এই কথা!” হেসে ফেলল যিয়াদ। অগ্নিকুণ্ডের পাশ থেকে লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে এক টুকরো কাঠ কয়লা আলাদা করল। ঠান্ডা হলে সেটা এগিয়ে দিল মায়ূমীর দিকে।

“এই নাও, সর্বোৎকৃষ্ট টুথ পাউডার। টুথপেষ্ট আবিষ্কার হওয়ার আগে যুগ যুগ ধরে মানুষ এটা দিয়ে দাঁত মেজেছে, নিজের আঙুলকে ব্রাশ বানিয়ে”

“রিয়েলি!” ইতস্তত হাতে কয়লার টুকরোটা নিল মায়ূমী “এটা দিয়ে আবার দাঁত কালো হয়ে যাবেনা তো” ভ্রু কুঁচকে বলল ও।

“জি না, উল্টে ঝকঝকে সাদা হয়ে যাবে”

“আচ্ছা!” অনিচ্ছুক ভঙ্গিতে উঠল মায়ূমী, “কিন্তু কীভাবে কী করব আমি না ঠিক বুঝতে পারছি না, তুমি একটু দেখিয়ে দেবে প্লিজ?”

“ঠিক আছে, চলো” অনিচ্ছাসত্ত্বেও উঠে দাঁড়াল যিয়াদ। আগে জানলে নিজে মুখ না ধুয়ে বসে থাকতাম, ভাবল ও।

বোতল নিয়ে রওনা দিল ওরা পানির নালার দিকে।

যিয়াদ আব্দুল্লাহ একদিন পরিচিত একটা মেয়েকে কয়লা দিয়ে দাঁত মাজা শেখাচ্ছে, ভাবা যায়! আঙ্গুল দিয়ে দাঁত ঘষতে ঘষতে মনে মনে বলল যিয়াদ।

“উফ! এতক্ষণে নিজেকে একটু পরিস্কার মনে হচ্ছে” কুলকুচি করার পর মায়ূমী অত্যন্ত প্রফুল্ল চিত্তে বলল। “থ্যাংকস ম্যান, থ্যাংকস এ লট” আলতো হাতে যিয়াদের পিঠ চাপড়ে দিল ও।

কলা দিয়ে ব্রেকফাস্ট করে হোটেল-রিসোর্ট খোঁজার মিশনে আবার নেমে পড়ল ওরা। উদ্দেশ্য, দ্বীপের যে পাশগুলো দেখা বাকি রয়ে গেছে, সেগুলো খুঁজে দেখা। আজকে ওরা গতদিনের থেকে বেশি প্রস্তুত, কারণ খাবার আর পানির চিন্তা আপাতত করতে হচ্ছেনা।

ঊর্ণাজালDonde viven las historias. Descúbrelo ahora