ইমতিয়াজ নিজের চোখ আর মন কোনটাকেই বিশ্বাস করতে পারছেনা। সে যাকে প্রথম ভালোবেসেছিল, যাকে নিয়ে এত স্বপ্ন দেখেছিল, তার ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত একটা পতিতালয় জুটলো? কি এমন হয়েছে তার জীবনে যে তাকে এখানে আসতে হলো? ওর জীবনটা শেষ পর্যন্ত এত নিকৃষ্ট রূপ নিলো?
***
লিয়ানা ভেতরে ঢুকে চারপাশে দেখে নিলো। একদমই ভালো লাগছেনা জায়গাটা। কয়েকজন লোক বসে আছে। ভাগ্যিস, লিয়ানার দিকে চোখ পড়েনি। নয়তো কি হতো কে জানে।
মিসেস মাজিদা লিয়ানাকে আবার টান দিয়ে ডেস্কের ওপাশে চেয়ারে অশ্লীল অবস্থায় বসে থাকা একটা মহিলার দিকে নিয়ে গেলো।
মহিলাটা এগিয়ে এসে লিয়ানার পাশে দাড়ালো। ঠিক মত দেখে নিলো সে লিয়ানাকে। লিয়ানার হাতের দিকে তাকিয়ে মিসেস মাজিদার দিকে রাগি চোখে তাকায়,
-আপনি এমন কেন করলেন? এখানে এনেছেন ভালো কথা, এভাবে কোনো কাঁটাকুটি বা ক্ষত থাকলে কাস্টোমাররা রাগ হবে। ওকে নিতে চাইবেনা।
-আমি এতকিছু জানিনা, আমি তো আপনাকে আরও অনেক মেয়ে দিয়েছি। তখন তো এসব বলেন নি।
-তখন এমন অবস্থা করেন নি, তাই বলিনি।
-এখন বলুন কবে থেকে টাকা দেওয়া শুরু করবেন।
-আরেহ, ধৈর্য ধরেন। ওকে কিছুদিন এখানে রাখতে হবে। আশেপাশের পরিবেশ দেখে, আরাম আয়েস দেখে ওরও করতে মন চাইবে। কয়টা দিন যাক। তারপর ক্যাটালগে ওর ছবি ছাপিয়ে দেব।
-বেশি অপেক্ষা করাবেন না। আর আমার কিছু অভিযোগ আছে, আগে যেসব মেয়েকে আমি দিয়েছিলাম তাদের টাকা এখন কম আসছে কেন? যতটা পাওয়ার কথা ততটা দিচ্ছেন না।
-ওরা পুরানো হয়ে গেছে তাই এক কাস্টোমার ওদের নিতে চায়না।
-যাই হোক, যেভাবে পারেন টাকাটা সময় মত দিয়ে দেবেন, আর খেয়াল রাখবেন ও যাতে পালিয়ে না যায়।
পালিয়ে গেলে কি হতে পারে তার শর্ত গুলো ফোনে আগে বলে নিলেও আবার সামনাসামনি মনে করিয়ে দিয়ে মিসেস মাজিদা আবার ফেরৎ চলে যায়।
YOU ARE READING
তোমার ফেরার অপেক্ষায়
Randomঅসভ্য মহিলাটা লিয়ানার হাতটা শক্ত করে ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। খুব ব্যাথা হচ্ছে তার, মনে হচ্ছে মহিলাটি তার হাতের নরম চামড়ায় নখ বসিয়ে দিচ্ছে। এমনটা করছে যাতে ভেগে যেতে না পারে লিয়ানা, তাও আবার এমন একটা জায়গায় নখ বসিয়েছে যেখানে খুব জোড়ে হাত সরিয়ে নিলে কে...