পার্ট-৭

29 9 1
                                    

নিঃশব্দে প্লাস্টিকের টবটা নামালো সে। সে ভালো মত দেখলো কোথাও ক্যামেরা লাগানো যায় কিনা।

অনেকক্ষণ ভেবে হঠাৎ ভাবলো, প্লাস্টিকের ফুলগুলোর মাঝে কালো মতন পরাগ বানানো। সে ভাবলো এটায় দিলে বুঝা যাবে। আর এমন ভাবে রাখতে হবে যাতে কেউ না বুঝে। 

******

ভোর বেলা ঘুম ভেঙে যায় লিয়ানার। শুয়া অবস্থাতেই আরমোরা ভেঙে তার ডান পাশে ফিরে তাকালো। ভয়ে লাফ দিয়ে উঠলো। 

ইমতিয়াজ তারাহুরো করে উঠে বলল, 

-কি হলো? ভয় পেয়েছো? নাকি আমাকে চিনতে পারছোনা?

লিয়ানা স্বাভাবিক হয়ে বলল, 

-না, আসলে তুমি ওভাবে তাকিয়ে ছিলে দেখে আমি ভয় পেয়েছি। কখন উঠেছ?

-কিছুক্ষণ আগে, সময় আছে নামাজ পড়ে নিতে পারো। 

-পড়বো, তবে এই অপবিত্র নাপাক জায়গায় কি নামাজ হবে? 

-তাও ঠিক। কিছু করার নেই। 

লিয়ানা ফ্রেশ হয়ে এসে বলল,

-তুমি কি চলে যাবে এখন? 

-হুমম, যেতে হবে। নাহলে ওরা সন্দেহ করবে। আমি রাতের জন্য আসি শুধু। তুমি ভয় পেয়ো না। প্রতিরাতে আমি এলে আমাকে সব বলবে। 

-যদি কেউ আসে?

-ওটা আমি দেখে নিবো। ভালো মেয়ে হয়ে থেকো। ঠিক আছে? 

-ওকে। সাবধানে থেকো তুমি। 

-আমার লাইন চুরি করেছ কেন?

লিয়ানা খিলখিল করে হেসে উঠলো। 

বের হয়ে যাওয়ার পর সে বুঝলো এখনো সবাই উঠতে অনেক সময় বাকি। ততক্ষণ সে মনে মনে অনেক বিপত্তির জন্য তৈরি হয়ে নিতে পারবে। 

******

তামজিদের বাবা আবার সেই কলেজে আসলো। ভাগ্যিস মিসেস মাজিদা নেই এখন সেখানে। কিন্তু সে ইলিয়াসের সাথে কথা বলে নিয়েছে, তাই উনাকে কলেজে ঢুকতে বাঁধা দেয়নি কেউ।

-আরে ভাইজান কেমন আছেন? 

করিম এমন ভাব করলো যেন জানতোই না যে তার ভাই আসবে। 

তোমার ফেরার অপেক্ষায়Where stories live. Discover now