পার্ট-১৩

25 8 0
                                    

-একটা কথা সত্যি করে বলো তো বাবা।

ইমতিয়াজ জিজ্ঞাসু চেহারায় তাকালো।

-তুমি কি ওকে সত্যিই ভালোবাসো?

-সেটা আমি আরও ৪ বছর আগে থেকেই করতাম কিন্তু আমি আগে ভিতু ছিলাম। ভাবতাম আমি বলে দিলে ও চলে যাবে। তার থেকে ফ্রেন্ডশিপ রাখাই ভালো, এক তরফা ভালোবাসাটা নাহয় অজানাই থাকুক। কিন্তু এখন আমি সত্যি ওকে বলতে চাই।

-আমি সাহায্য করতে পারি। তবে এমন কিছু করবে না যাতে ওর আমাদের প্রতি বিশ্বাস ভেঙ্গে যায়।

আকাঙ্ক্ষা ভরা অভিব্যক্তি নিয়ে হাসি দিলো সে। 

-কীভাবে করবেন?

-আগে আমাকে বলো। ভালোবাসার কথাটা বলার ইচ্ছেই আছে শুধু? নাকি আরও কিছু করার?

-আন্টি, আমার মা ব্যাকুল হয়ে আছে ওকে ঘরের বউ করার জন্য। 

-হুম, তোমার ফ্যামিলি মেনেছে, কিন্তু তুমি ভেবে দেখ আগে তুমি ওকে বিয়ে করতে চাও কিনা। কারণ বিয়ে কোনো ছেলেখেলা না। ওকে বিয়ে করার জন্য মেন্টালি প্রিপেয়ার আছো তো?

ইমতিয়াজ জোড়ে নিঃশ্বাস নিয়ে বলল,

-আন্টি আমি আমার বাবা মায়ের সম্মতি ছাড়া হলেও ওকে বিয়ে করতাম। কিন্তু কিছুদিন আমি ইচ্ছে করেই ওকে খুঁজিনি কারণ আমার বাবা রাজি থাকলেও আমার মা রাজি ছিলো না। আর এখন আমার মা-ই বেশি পাগল হয়ে আছে। 

-আচ্ছা বুঝলাম। আমি ওর বাবা মায়ের সাথে কথা বলবো। 

-ও যদি রাজি না হয়?

-সে কি তোমাকে ভালোবাসে?

-এটা তো অনেক বড় প্রশ্ন। 

-যদি ভালোবাসে সে অবশ্যই রাজি হবে। 

-আমি জানবো কী করে? 

-সেটা আমিও বলতে পারবো না। আগে কথা বলে দেখি। 

*******

লিয়ানা ছাদে উঠে গাছে পানি দিচ্ছিল। 

চাচি এসে দোলনায় বসলো। 

-শরীরের কি অবস্থা চাচি? এখনও মাথা ঘুরাচ্ছে?

-না রে মা। তুই খেয়েছিস?

তোমার ফেরার অপেক্ষায়Where stories live. Discover now