পার্ট-১২

23 8 0
                                    

-স্যার আমরা কী করবো?

- তোমাদের হাতে আর দুই সপ্তাহ সময় আছে। তোমরা খুঁজে দেখো কোনো নতুন জব পাও কিনা, আর এদিকে আমিও চেষ্টা করি।

লিয়ানা এতক্ষণ  একটাও কথা বলেনি। চুপচাপ বসে সব শুনছিল। চাচা অনেক বিশ্বাস করে তার বন্ধুর দোকানে আমার চাকরি করিয়ে দিয়ে গেছে। এখন যদি জানে এই জবটাও নেই, তাহলে চাচা কষ্ট পাবে। চাচা ওর পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন। খাওয়া দাওয়া ছাড়া নিজের বারতি খরচ যা আছে তা দিয়েই তার দিন চলে। আর বাকি যে টাকাটুকু থাকে সেটা বাবা মাকে দিয়ে দেয়। 

হঠাৎ একটা কথা মনে পড়তেই সে জিজ্ঞেস করলো,

-স্যার, চাচা কি এসব জানে?

-না রে মা। ওরে জানাতে পারলে ঠিকই জানাতাম। কিন্তু সাহস হয়না, এত ভরসা করে তোমাকে এখানে দিয়েছে এখন আমি এটা উঠিয়ে নিচ্ছি। আসলে, দুনিয়াতে কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। 

***** 

ইমতিয়াজের ব্রেইনে অনেক তাড়াতাড়ি কথাটা ঢুকলো আর সাথে সাথে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলো। 

যখন সে টের পেল ওরা বের হচ্ছে তখন সে অন্যদিকে ঘুরে যায়। 

পেছনে দাঁড়িয়ে লিয়ানা একটা ভুরু উঁচু করে বলল, 

-স্যার আপনি এখনো যান নি? 

কিছু না জানার ভান করে ইমতিয়াজ পেছনে ঘুরলো,

-আমাকে বলেছেন?

-না আপনার মতই একজন বুড়ো লোক এখানে দাঁড়িয়ে আছে তাকে বলছি। 

ইমতিয়াজ দুষ্টুমি করে চোখ বড়ো করে আশে পাশে একবার চোখ বুলিয়ে দেখে বললো, 

-আপনি কি ভূতটুত দেখতে পান নাকি? এই দেখেন আমি কিন্তু অনেক ভয় পাই। 

অনেক কষ্টে লিয়ানা ওর অভিব্যক্তি দেখে মুখের হাসি থামানোর চেষ্টা করলো,

-আর কোনো কাজ না থাকলে এবার যেতে পারেন আমার কাজে বাঁধা দিবেন না দয়া করে। 

লিয়ানা পেছনে ঘুরতেই অনেক সাহস করে ঝট করে ইমতিয়াজ মুখ খুলে বলে ফেলল,

-আচ্ছা শুনো, তোমার নম্বরটা দিবে?

লিয়ানা রাগ হয়ে পেছনে তাকালো, 

তোমার ফেরার অপেক্ষায়Where stories live. Discover now