পার্ট-১১

31 9 3
                                    

-ঠিক আছে, ভাইয়া। সাবধানে যেয়ো।

-ভালো থেকো আপু।

ইশারায় ইমতিকে আবার মনে করিয়ে দিলো।

******

লিয়ানা রেস্টুরেন্টের চেয়ারে বসে মুচকি হাসছে। পেট ভরে লাঞ্চ করে এখন বসে আছে। ইমতিয়াজ বিল দিতে গেছে। সে অনেকবার চেষ্টা করেছে কিন্তু শেষমেশ কথা ঘুরিয়ে অন্য কথায় চলে যাচ্ছিলো বার বার।

লিয়ানার হাসির মূল কারণ আজ ইফতি মুখ ফসকে ওকে ভাবী বলে ফেলেছে। লিয়ানা বুঝতে পারছেনা কেমন অনুভব করবে। ওর শুধু হাসি পাচ্ছে এই কথা মনে করে। সবচেয়ে বড় কথা ইফতি আর ইমতি কেউই এই ব্যাপারটা খেয়াল করেনি। 

-কি হলো? মুচকি হাসছো যে? 

-কই নাতো। এমনিই।

-আচ্ছা একটু পর তোমাকে নিতে আসবে। আমাকে ফোন দিয়েছিলো আব্দুল্লাহ আঙ্কেল। 

-ওহ আচ্ছা। 

হাসি উধাও হয়ে গেলো লিয়ানার। 

*****

৩টা বেজে ৩০ মিনিট বাজছে এখন। স্ন্যাকস বারটায় তেমন মানুষ নেই। 

লিয়ানা একটা টেবিলে বসে হাতের দাগটার দিকে তাকিয়ে আছে। ব্যাথা নেই তবে দাগটা আছে।

মনে মনে সে ভাবছে, 

মহিলাটা সারাজীবন কাটাবে এখন জেলে। উনার আর উনার সাথে জড়িত এই অপকর্মের জন্য সব মানুষের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকার জরিমানা নিয়ে যতজন শিক্ষার্থী আছে সবার পরিবারে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমাকেও দিয়েছে, কিন্তু বাবা মা আমার জন্য খুবই চিন্তা করেন এখন। তাই ওসব আর খরচ না করে আমার জন্যই রেখে দিয়েছেন। ভুলেও এখন কারো প্রতারণায় পড়বেনা। আমাকে দিয়ে অনেক বড় শিক্ষা পেয়েছেন উনারা। আমার ভাই বিয়ে করেছে, বাবা মার দায়িত্বটা এখন তার ঘাড়ে। কিন্তু যেই টাকাগুলো পেয়েছে সেগুলো এখন আমার একটু কাজে লাগলেই আমাকে দেয়। 

হঠাৎ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে মনে পড়ে গেলো সেই দিনের কথা। ঘড়িতে সময় আর তারিখ দুটোই আছে। এক বছর আগে আজকের দিনটায়ই শেষ বারের মত সে ইমতিয়াজকে দেখেছিলো। অনেক আশা করেছিল ইমতিয়াজ তার সাথে আবার যোগাযোগ করার জন্য কিছু একটা জিজ্ঞেস করবে কিন্তু কিছুই বলল না। 

তোমার ফেরার অপেক্ষায়Where stories live. Discover now