-চলো তাহলে।
-কোথায়?
-নিজেই দেখো।
লিয়ানা আর মানা করলো না। শেষ দিনটা বন্ধু হয়েই নাহয় কাটালো।
******
রাত সাড়ে নয়টা বাজে।
ইমতিয়াজ কাছেই একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায় লিয়ানাকে। রাতের ডিনার সেখানেই সেড়ে নেয়।
একটা ছোট ব্রিজের উপর দিয়ে হাটছে দুইজন। লিয়ানার চুপ করে থাকা দেখে ইমতিয়াজ কথা বলা শুরু করলো,
-একটা কথা বলবো অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম, সুযোগই হয়নি।
তাচ্ছিল্যের সঙ্গে একটা ভাব করলো লিয়ানা, যেন তার আর কোনো এক্সপেকটেশনই নেই।
-কি বলবে? বিয়ে করছো? কংগ্র্যাচুলেশনস। খুশি থাকো।
-না, কথাটা আসলে তা না। সেটা সময় হলে জানবে।
কথা শেষ না হতেই আবার লিয়ানা বলল,
-তাহলে কী? অন্য দেশে চলে যাচ্ছ? কংগ্র্যাচুলেশন্স!!
-ধুর, আগে আমার কথাটা শুনো। আগেই এভাবে লাফাচ্ছ কেন? তুমি কি আমাকে ভাগিয়ে দিতে চাও?
-বলো।
-লিয়ানা দেখ, আমি জানি তুমি কেন আমার উপর রাগ করে আছ। আমি আগে না বুঝতে পারলেও এখন আমার মাথায় ঘিলু ঢুকেছে। আমি তোমার ফ্রেন্ড তা ঠিক, আমি ভয় পেতাম এই ফ্রেন্ডশিপটা একদিন নষ্ট হয়ে যাবে যদি অন্য কিছুতে আগাই। কিন্তু লিয়ানা, এবার আমাকে একটা সুযোগ দাও। আমি ফ্রেন্ড তথা সিংগেল থাকতে চাইনা আর।
লিয়ানার রাগ বেড়ে যাচ্ছে,
-মানে? কি বলতে চাচ্ছ তুমি?
ইমতু একটু ড্রামাটিক ভাবে বলল,
-এই চিরকুমার এখন বিয়ে করতে চায় তার ভালোবাসাকে। তার ভালোবাসা কি তাকে মেনে নেবে?
-তুমি কি পাগল?
-দেখ, এখন আমি রিলেশনশিপের কথা বলতে পারবোনা কারণ আমরা দুজনই বড় হয়েছি। বিয়ের জন্য যোগ্য হয়েছি...
লিয়ানার রাগের লেভেল অতিরিক্ত বেড়ে গেলো। কথাটা শেষ না হতেই ইমতিয়াজের গালে চড় বসিয়ে দিলো লিয়ানা, চোখে পানি।
YOU ARE READING
তোমার ফেরার অপেক্ষায়
Randomঅসভ্য মহিলাটা লিয়ানার হাতটা শক্ত করে ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। খুব ব্যাথা হচ্ছে তার, মনে হচ্ছে মহিলাটি তার হাতের নরম চামড়ায় নখ বসিয়ে দিচ্ছে। এমনটা করছে যাতে ভেগে যেতে না পারে লিয়ানা, তাও আবার এমন একটা জায়গায় নখ বসিয়েছে যেখানে খুব জোড়ে হাত সরিয়ে নিলে কে...