পার্ট-১৪

30 8 0
                                    

গায়ের এপ্রনটা খুলে ইমতিয়াজের টেবিলের উপর রেখে চলে গেল।

রিমা ইমতিয়াজের রুমে এসে বলল,

-ভাইয়া, ও যে চলে গেলো।

-দুইদিন পর ঠিকই এসে পড়বে।

-এত শিওর কিভাবে আপনি স্যার?

-আমি এখানের আশে পাশের বেশিরভাগ নিয়োগকর্তাকে চিনি। এই এলাকায় মোট ৭-৮টা কম্পানিতে অধ্যায়নরত স্টুডেন্ট নেয়। আর সবাইকে আমি বলে রেখেছি যাতে ওকে জব না দেয়। ওর ফ্যামিলির রিকুয়েস্টে সে আবার আসবে।

-বাহ, থ্যাংক ইউ স্যার। ওর সাথে কাজ করতে করতে এখন আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের মত হয়ে গেছে। ওকে ছাড়া আর ভালো লাগেনা।

*****

লিয়ানা তার খাটে শুয়ে সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে গভীর চিন্তায় ভাবছে। 

-এখন কি হবে? এই এলাকায় যেই যেই দোকান আছে বা কম্পানি আছে, একটাতেও আমাকে নিতে রাজি হয়নি। এখন তো আর কোনো পথ পাচ্ছিনা। 

হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো,

 -হ্যাঁ মা বলো। 

-অ্যাঁই বোকা মেয়ে। তুই নাকি চাকরি ছেড়ে দিয়েছিস? বসকে পছন্দ হয়নি বলে? এটা কোনো কথা?

-প্লীজ মা। এটা নিয়ে আর কথা বলতে চাইনা। 

-যাই হোক। তোর বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাও তুই এমন করছিস? 

-মা আমি এদিকে অনেকগুলোতে গিয়েছি, কোথাও আমাকে নিতে রাজি না। 

-তুই ওখানেই যা। 

-কিন্তু মা, আমি উনাকে এত বড় একটা কথা বলে এসে পড়েছি। আমাকে নিয়ে যদি মজা করে?

-আচ্ছা আমাকে দে আমি কথা বলবো তার সাথে।   

-না, না, থাক লাগবেনা। আমি দেখি কি করা যায়। 

-আচ্ছা শুন, তোর চাচি যে ছেলেটার কথা বলেছে সে আসলেই অনেক ভালো। আমি কি কথা ফাইনাল করবো?

-মা তোমাদের যা ভালো মনে হয় করো। 

-এ কি। বিয়ে করবি তুই। আমাদের মন মত করলে কি তুই খুশি থাকবি? তোর একটা চাহিদা আছেনা? বলে ফেল থাকলে। দেখতে চাস না ছেলেটাকে?

তোমার ফেরার অপেক্ষায়Where stories live. Discover now