গায়ের এপ্রনটা খুলে ইমতিয়াজের টেবিলের উপর রেখে চলে গেল।
রিমা ইমতিয়াজের রুমে এসে বলল,
-ভাইয়া, ও যে চলে গেলো।
-দুইদিন পর ঠিকই এসে পড়বে।
-এত শিওর কিভাবে আপনি স্যার?
-আমি এখানের আশে পাশের বেশিরভাগ নিয়োগকর্তাকে চিনি। এই এলাকায় মোট ৭-৮টা কম্পানিতে অধ্যায়নরত স্টুডেন্ট নেয়। আর সবাইকে আমি বলে রেখেছি যাতে ওকে জব না দেয়। ওর ফ্যামিলির রিকুয়েস্টে সে আবার আসবে।
-বাহ, থ্যাংক ইউ স্যার। ওর সাথে কাজ করতে করতে এখন আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের মত হয়ে গেছে। ওকে ছাড়া আর ভালো লাগেনা।
*****
লিয়ানা তার খাটে শুয়ে সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে গভীর চিন্তায় ভাবছে।
-এখন কি হবে? এই এলাকায় যেই যেই দোকান আছে বা কম্পানি আছে, একটাতেও আমাকে নিতে রাজি হয়নি। এখন তো আর কোনো পথ পাচ্ছিনা।
হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো,
-হ্যাঁ মা বলো।
-অ্যাঁই বোকা মেয়ে। তুই নাকি চাকরি ছেড়ে দিয়েছিস? বসকে পছন্দ হয়নি বলে? এটা কোনো কথা?
-প্লীজ মা। এটা নিয়ে আর কথা বলতে চাইনা।
-যাই হোক। তোর বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাও তুই এমন করছিস?
-মা আমি এদিকে অনেকগুলোতে গিয়েছি, কোথাও আমাকে নিতে রাজি না।
-তুই ওখানেই যা।
-কিন্তু মা, আমি উনাকে এত বড় একটা কথা বলে এসে পড়েছি। আমাকে নিয়ে যদি মজা করে?
-আচ্ছা আমাকে দে আমি কথা বলবো তার সাথে।
-না, না, থাক লাগবেনা। আমি দেখি কি করা যায়।
-আচ্ছা শুন, তোর চাচি যে ছেলেটার কথা বলেছে সে আসলেই অনেক ভালো। আমি কি কথা ফাইনাল করবো?
-মা তোমাদের যা ভালো মনে হয় করো।
-এ কি। বিয়ে করবি তুই। আমাদের মন মত করলে কি তুই খুশি থাকবি? তোর একটা চাহিদা আছেনা? বলে ফেল থাকলে। দেখতে চাস না ছেলেটাকে?
YOU ARE READING
তোমার ফেরার অপেক্ষায়
De Todoঅসভ্য মহিলাটা লিয়ানার হাতটা শক্ত করে ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। খুব ব্যাথা হচ্ছে তার, মনে হচ্ছে মহিলাটি তার হাতের নরম চামড়ায় নখ বসিয়ে দিচ্ছে। এমনটা করছে যাতে ভেগে যেতে না পারে লিয়ানা, তাও আবার এমন একটা জায়গায় নখ বসিয়েছে যেখানে খুব জোড়ে হাত সরিয়ে নিলে কে...