পার্ট-৩

67 13 5
                                    

-কি হইছে? তুই এভাবে কাঁপা গলায় কথা বলতেছিস কেন?

-ভাই, পরে বলবো সব। তোর বাবার সাথে কথা বলতে হবে আমার। নাম্বারটা দিস।

-কেন?

-ধুর, পরে বলবো। তুই দে আগে।

নাম্বারটা নিয়ে তামজিদের বাবার কাছে ফোন দিয়ে কিছু প্রশ্ন করলো আর সব খুলে বলল।


*******

সকাল এগারোটা বাজে।

তামজিদের বাবা সেই এলাকার কাছা কাছিই একটা দোকানে বসে ছিল তার এক দূরসম্পর্কের চাচাতো ভাই এর সাথে। বয়েস খুব বেশি না। তামজিদের বাবার থেকে ৮ বা ৯ বছর ছোট। চুল কিছু কিছু পাকা। সাদা শার্ট আর ছাই রঙের প্যান্ট পড়ে আছে। 

তামজিদের বাবা কিছুক্ষণ আলাপ করতে করতে হঠাৎ একটা পরিচিত কণ্ঠ বলে উঠলো, 

-আরে, আব্দুল্লাহ না রে? 

-কিরে ইলিয়াস কেমন আছিস? কতদিন পর দেখা হলো। 

-কোথায় ছিলি এতদিন? তোর নাম্বারও নেই যে যোগাযোগ করবো। 

-অনেকদিন এদিকে আসা হয়না। অন্য কোথাও কাজ থাকে। বুঝিসই তো আমার যেই পোস্ট সেই পোস্টে জায়গায় জায়গায় গিয়ে ইনফরমেশন নেওয়া লাগে। 

-অহ আচ্ছা ভাল কথা। তোর কাছে কোনো ছাত্রী হবে? আমার বোন একটা মহিলা কলেজ খুলেছে এক বছর হলো। 

এই কথা শুনে তামজিদের বাবার কান খাড়া হয়ে গেলো। 

মনে মনে ভাবলো এটা কি সেই কলেজ যেটার কথা গতকাল ইমতিয়াজ আমাকে বলেছিল?

মুখের চাহনি বদলে তামজিদের বাবা আবার জিজ্ঞেস করলেন, 

-আরে তাই নাকি রে? কিন্তু আমি তো জানতাম তোর কোনো বোন নেই। 

-আরে সে তো আমার চাচাতো বোন।

-বেশ। তবে কলেজটা কোথায়?

-ঐ যে এই রাস্তা দিয়ে কিছুটা পথ হাটতে হয় আরকি। 

তামজিদের বাবা ভাবলেন, 

-হ্যাঁ, যাক এবার জেনে নেওয়া যাবে। কিন্তু এখনি সিওর হওয়া যাবেনা কারণ এই লোক এখনো  মিসেস মাজিদার কথা বলেনি । 

তোমার ফেরার অপেক্ষায়Where stories live. Discover now