লিয়ানাকে থামাতে মহিলাটা দৌড়ে এলো। পেছন থেকে আরেকটা মেয়েও এসেছে তাকে থামাতে। দুইজন মিলে লিয়ানা সরিয়ে নিলে সেই মহিলাটা একজনের নাম ধরে জোড়ে জোড়ে ডাকে। সে আসার পর নিয়ে যায় লোকটা ওখান থেকে।
লোকটার আর্তনাদের সাঙ্গ হয়েছে। মনে হয় মাতালতা আর তীব্র ব্যথার কারণে বেহুশ হয়ে পড়েছে।
******
করিম ছোট্ট ক্যামেরাটা নিয়ে তার রুমে বালিশের কভারের ভেতর রেখে দিলো যাতে কেউ টের না পায়।
অবশ্য এই পুরো স্কুলে মাত্র দুইটা কাজের মহিলা আছে। একজন সব ছাত্রীদের খেয়াল রাখে, আর আরেকজন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকটা দেখে। পরিষ্কার করার মহিলাটা করিমের ঘরে আসেনা। কারণ করিমের ঘরে পরিষ্কার করার মত তেমন কিছু নেই। শুধু একটা খাট আরেকটা ছোট টেবিল আছে। করিমের কাপড় চোপড় সব ব্যাগেই রাখে। রুমটা অনেক ছোট, যেইটুকু আছে, সেটুকু করিম নিজেই গুছিয়ে নিতে পারে। তাই তার রুমে কেউ আসার তেমন কেউ সম্ভাবনা নেই। মাঝে মাঝে ইলিয়াস এসে রুম চেক করে যায়, সন্দেহজনক কিছু আছে কিনা।
ওর রুমে বেশি মানুষ যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকলেও, ও যেখানে ক্যামেরাটা রেখেছে সেখানে রাখাটা রিস্ক শুধু একটা কারণে যে ইলিয়াস এসে দেখে ফেলতে পারে। কিন্তু কিছু করার নেই কারণ, আজ মাঝ রাতেই সে ক্যামেরা সেট করে ফেলবে।
সবার রুমের লাইট অফ হয়ে গেলেও করিম খুবই অস্থির হয়ে আছে, কখন সে ক্যামেরাটা সেখানে লাগাবে। একটা ভালো দিক হলো, ক্যামেরাটাতে মাইক্রোফোন আছে যার কারণে ক্যামেরাতে যা ভাসে তার সব কিছুর শব্দ শোনা যাবে।
রাত আড়াইটা বাজতে আর কিছু মিনিট বাকি। করিম ধিরে ধিরে দরজা খুলে আশে পাশে দেখে নিলো কেউ আছে কিনা। দুই তলায় এসেও সে দেখে গেলো।
ছোট ক্যামেরাটা হাতে নিয়ে সে উপরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পা বাড়ালো।
সিড়িতে পা রাখতে যাবে তখনি বাথরুমে পানির শব্দ হলো। সে সেখানেই স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। দরজা খুলতেই দেখলো একজন লোক বাথরুম থকে বের হয়েছে, সে একজন শিক্ষক।
YOU ARE READING
তোমার ফেরার অপেক্ষায়
Randomঅসভ্য মহিলাটা লিয়ানার হাতটা শক্ত করে ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। খুব ব্যাথা হচ্ছে তার, মনে হচ্ছে মহিলাটি তার হাতের নরম চামড়ায় নখ বসিয়ে দিচ্ছে। এমনটা করছে যাতে ভেগে যেতে না পারে লিয়ানা, তাও আবার এমন একটা জায়গায় নখ বসিয়েছে যেখানে খুব জোড়ে হাত সরিয়ে নিলে কে...