লিয়ানার হাসি উধাও হয়ে গেলো। কিছুক্ষণ চুপ হয়ে ছিল। ইমতিয়াজ বলল,
-এই দেখ, আমি আমার ফোন অফ করে দিচ্ছি। কেউ কল দিবেনা এখন আর। বলো আমাকে।
-আসলে আমাদের আর্থিক অবস্থা অনেক খারাপ পর্যায়ে যায়। আমাদের পক্ষে ঢাকায় থাকা একেবারেই সম্ভব হচ্ছিল না। তাই বাবা ভেবে চিন্তে আব্বুর এক ক্লোজ বন্ধু বলল আমাদের নিয়ে দিয়াতলি গ্রামে চলে যেতে।
-আচ্ছা এই দিয়াতলি গ্রামটা কোথায়?
-কলসকাটি উপজেলায়।
-ওহ আচ্ছা, বরিশালেই পড়ে।
-হ্যাঁ। আব্বুর সেই বন্ধু বলেছিল আমরা ওখানে গেলে আমাকে পড়াশুনার জন্য বাকেরগঞ্জ উপজেলায় পাঠাবে পড়াতে। আগে থেকেই সব সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা গেলাম সেখানে।
-পড়ানোর কথা যে বললা, এটা কি সেই অখ্যাত সরকারি কলেজটা?
-হ্যাঁ, আমার বাবাকে সেই লোকটা এমন ভাবে পটিয়েছে যেন মনে হবে অনেক ভালো কলেজ, মেয়েদের কলেজ ছিল। কিন্তু ওখানে যাওয়ার পর আমি বুঝেছি কি পরিমাণ ভালো।
-হুমম বুঝলাম। বলতে থাকো।
-আমার বাবা বলেছিল যাতে আমার ভাই আমাকে ওখানে দিয়ে আসে, কিন্তু ওই লোকটা অনেক ভাবে আব্বুকে কান পড়া দিয়ে বুঝালো যে মিসেস মাজিদা মানে যে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে, সে অনেক বিশ্বাস যোগ্য। তার কাছে দিয়ে দিলেই হবে। অনেক কসরত করে শেষ পর্যন্ত বলে আমাকে সেখানে নিয়ে যায়। নেওয়ার পর সেখানে যেয়ে দেখলাম একটা পুরোনো বাড়ি। ভেতরে যেয়ে আরও কয়টা মেয়েকে দেখলাম, দেখে মনে হলো ওরা খুব ভালো অবস্থায় নেই। গ্রামের কলেজ গুলোতে শিক্ষার্থীদেরকে টাকা দেওয়া হয়। গরীব বাবা মা-দের টাকার লোভ দেখিয়েই মেয়েদের নিয়ে যায় ওরা।
ইমতিয়াজ মাথা নাড়িয়ে সব শুনছে।
-রুমে যাওয়ার পর আমাকে বাবা মা যে ফোন দিয়েছিলো সেটা ওরা নিয়ে নেয়। প্রথমে দুই এক দিন তারা আমাকে বাবা মার সাথে কথা বলতে দিয়েছিল, কিন্তু পরে আমার ফোন নিয়ে যায় ওরা।
যতটুকু একটা মেয়ের থেকে শুনি ওরা সবার সাথেই এমন করে। আসলে ওখানে বেশি শিক্ষার্থী নেই। যতজন আছে সবারই একই অবস্থা। সেই মেয়েটা বলেছে যে ওদের বাসা থেকে যে বাটন ফোন দেওয়া হয়, সেগুলো নেওয়ার পর ওদের বাসায় জানানো হয় যে ওরা ফোন ইউজ করলে পড়াশুনায় মন দিতে পারবেনা, আননোন নাম্বার থেকে কল আসলে ওরা ফাঁদে পড়ে প্রেম শুরু করবে, এই জন্য ফোন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দরকার হলে শিক্ষকরা জানিয়ে দেবে ওরা কি অবস্থায় আছে। তো সেখানে থেকে জানতে পারলাম যারা খারাপ রেজাল্ট করে তাদের এমন একটা বিচ্ছিরি জায়গায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
YOU ARE READING
তোমার ফেরার অপেক্ষায়
Randomঅসভ্য মহিলাটা লিয়ানার হাতটা শক্ত করে ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। খুব ব্যাথা হচ্ছে তার, মনে হচ্ছে মহিলাটি তার হাতের নরম চামড়ায় নখ বসিয়ে দিচ্ছে। এমনটা করছে যাতে ভেগে যেতে না পারে লিয়ানা, তাও আবার এমন একটা জায়গায় নখ বসিয়েছে যেখানে খুব জোড়ে হাত সরিয়ে নিলে কে...