"কী খাবেন?",রাস্তার ধারে একটা ছোটমতন দোকানের ফ্রিজের দিকে তাকিয়ে অন্বয় জিজ্ঞেস করলেন আমাকে।
আমার মন তখনো অসমাপ্ত কাহিনীতে পড়ে আছে। অস্থিরতা চাপা দিয়ে বললাম,"আপনি যা খাবেন সেটাই দুইটা নেন।"
অন্বয় একটা দুর্বোধ্য হাসি দিয়ে বললেন,"আমি যদি একটা এক লিটারের বক্স নেই,আপনিও তাই নেবেন?"
আমি বুঝলাম বেশ একটা ফাজলামো হচ্ছে। আমি ফাজলামোর ধার ধারলাম না। সত্যি সত্যি উত্তর দিলাম,"জ্বি না। তাহলে আমি আপনার থেকে দুই চামচ খাব। আলাদা করে নেব না।"
বলতে বলতে একটা ৫০০ টাকার নোট বের করে বললাম,"এইটা ভাঙান।"
মাথা ঝাঁকিয়ে "একটু দাঁড়ান, আসছি।",বলে ভিতরে ঢুকে গেলেন। একটু পর যা দেখলাম সেটার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না!একটা বড় ব্রাউন প্যাকেট!
দেখে বুঝেই গেছি ভিতরে কী আছে,তাও বিস্মিতভাব লুকাতে পারলাম না,মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল "কী এটা!"
"আইসক্রিম" বলে একটু বের করে দেখালেন,এক লিটারের বক্স, সাথে কাপ আইসক্রিমের দুইটা চামচ।
আমি বললাম,"আপনি কি পাগল?"
সে কথার জবাব না দিয়ে বললেন, "দুইটা চামচের জন্য এক্সট্রা পে করা লাগলো। কিছু টাকা বেশি লেগেছে আইসক্রিমের দামের। এই যে চেঞ্জ। "
আমি হাত বাড়িয়ে টাকাটা নিলাম।
বললেন," কোথাও বসবেন?
চলেন রিকশা নেই। রিকশায় কথা বলি। চমৎকার আবহাওয়া... "
আমি ঘাড় কাত করে সায় দিলাম। কিছু বললাম না।...
রিকশায় উঠে প্রথম কথা,"কতদূর বলেছিলাম?"লিটার বক্স দেখে যে চমকের ভাব টা ছিল সেজন্য অস্থিরতা ভুলে ছিলাম। এই প্রশ্নে আবার মনে পড়ল।
আমি কিছু বলার আগে অন্বয় নিজেই বললেন,"ও হ্যাঁ! আমার পছন্দ আছে কিনা, আম্মা এই নিয়ে পিছে লেগে থাকলেন কিছুদিন।
বলব না বলব না করেও বলে ফেললাম এক জুনিওরকে ভাললাগে..."
হঠাৎ মনে হল সজোরে ঝাঁকি খেলাম...
এরই মধ্যে বক্স খুলে আইসক্রিম নিয়ে খাওয়া শুরু হয়ে গেছে।
আমার দিকে এগিয়ে দিলেন। আমি নিতান্ত অনিচ্ছায় একটা ছোট করে স্কুপ তুললাম।
"নাম কী?"
অন্বয়ের গল্প বলায় মনে হয় ছেদ পড়ল,"জ্বি?"
আমি গলা যথাসম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে করতে জিজ্ঞেস করলাম,"জুনিওরের নাম কী? আপনার গার্লফ্রেন্ডের.."
"ও! শ্রেয়া..."
YOU ARE READING
অনেক রোদ্দুর
General Fictionহঠাৎ বিয়ের কথা বার্তা শুরু হয়ে গেল। পরিচয়... ভাল লাগা,না লাগা...