চার: ছেলেটা

2.3K 64 6
                                    

কল টা ধরা উচিত হবে কি হবে না... ভাবতে ভাবতে ধরেই ফেললাম।  নিচুস্বরে বললাম, "হ্যালো"
আম্মা যেভাবে তাকালো তাতে বুঝলাম এখানে বসে কথা বলা ঠিক হবে না। আমি "একটু আসছি", বলে ফোন টা নিয়ে উঠে পড়লাম। ভিতরে কোথাও একটু শান্ত জায়গা নাই। রেস্টুরেন্ট না বাজার!
হৃদকে হোল্ড করতে বলে বের হলাম। গলা শুনে মনে হল সে খুবই উত্তেজিত। জিজ্ঞেস করল,"তুই কোথায়?"
"আর বলিস না। মহাবিপদে আছি। যেকোন মুহূর্তে শহীদ হয়ে যেতে পারি!"
"কী বিপদ?"
"আমার মনে হয় বিয়ের প্ল্যান প্রোগ্রাম শুরু করেছে বাসায়"
"মনে হয়?"
"হুঁ"
"তাহলে আগে শিওর হ। আন্দাজে খুশি হইস না। আমার খবর বলি তোকে-"
আমি মাঝখানে থামিয়ে দিলাম,"আমি মোটেও বিয়ে নিয়ে খুশি হচ্ছি না।"
"তাহলে আমার কথা শুনে খুশি হ। গুড নিউজ। আমার-"
দুম করে বাড়ি খেলাম কিছু একটার সাথে।
আর ঠাস্। ফোনটা ছিটকে একটু দূরেই পড়ল আর আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম স্ক্রীন প্রটেক্টরটা চিড়চিড় করে ফেটে গেল। আমার নতুন ফোনটা পাওয়ার পর থেকে দুই দিনে দুইটা দুর্ঘটনা।

রাগে, দুঃখে রীতিমত চিৎকার করে উঠলাম,"দেখে হাঁটতে পারেন না!"
যার সাথে দুর্ঘটনা তিনি তড়িঘড়ি করে ফোন টা তুলে আমার দিকে বাড়িয়ে দিল...
আমি হাত বাড়িয়ে নিতে গিয়ে ভূত দেখার মত চমকে উঠলাম!

বাসস্টপের ওই ছেলেটা!
"সরি আ-আমি তাড়াহুড়া করছিলাম। দেখতে পাই নি!"
আমি তো ফ্রিজ হয়েই ছিলাম, চোখাচোখি হতেই আগন্তুকও জমে গেল। কয়েক মুহুর্তের অস্বস্তিকর নীরবতা। এর মধ্যে মনে হল কয়েক যুগ কেটে গেছে।
ঘোর কাটল আংকেলের ডাকে,
"অন্বয়!"
আগন্তুক চোখ সরিয়ে জবাব দিল,"জ্বি আব্বু?"

আব্বু! সর্বনাশ!

অনেক রোদ্দুরWhere stories live. Discover now